হার্টবিট ডেস্ক
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে ৭৫ লাখ করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে চলছে একদিনের বিশেষ ক্যাম্পেইন।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রচারণার অভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত টিকাদানের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা (৭৫ লাখ) পূরণ না হবে ততক্ষণ টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকেই ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে শুরু হয় গণটিকা কার্যক্রম।
আগে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করা কিন্তু এসএমএস নেই, তাই মিলছিল না ভ্যাকসিন। এবারের ক্যাম্পেইনে তাদের দেওয়া হচ্ছে সিনোফার্মের টিকা। দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে কাঙ্ক্ষিত টিকা পেয়ে তাই উচ্ছ্বাসটা একটু বেশি।
টিকা নেওয়ার পর এক ব্যক্তি বলেন, টিকা পেয়ে ভালো লাগছে। মেসেজ আসেনি তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে টিকা দেওয়া হচ্ছে জেনে আসলাম, তারপরও টিকা পেয়ে ভালো লাগছে।
আরেকজন বলেন, কয়েকদিন থেকে গণমাধ্যমের নিউজে দেখেছি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে টিকা দেবে, এজন্য আজ এখানে এসেছি টিকা নিতে।
তবে গতবারের ক্যাম্পেইনে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও এই দফায় কেবল এনআইডি নিয়ে কেন্দ্রে এসে টিকা না নিয়ে ফিরে গেছেন অনেকে। টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি বলেন, আমার আরও দুজন লোক এসেছিল তাদের রেজিস্ট্রেশন নেই, এখান থেকে বলা হয়েছে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা দেওয়া হবে না।
আবার স্বাস্থ্য বিভাগের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তের কারণে প্রচারণা হয়েছে কম তাই মানুষের উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলক কম।এক কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, আসলে সেভাবে প্রচারণা হয়নি। আমাদের জানা মতে, কলাবাগান এলাকাতে প্রচার প্রচারণা হয়নি। এই যে সামনে মসজিদ আছে সেখানে মাইকেও বলা হয়নি।
কোথাও যদি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হয় তাহলে আগামীকালও এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিও চলবে।
দেশে আজ ফাইজারের যে ২৫ লাখ টিকা এসেছে সেগুলো কারা পাবেন জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, দেশের নাগরিকরাই এ টিকা পাবেন। তবে যেসব দেশে ফাইজারের টিকা ছাড়া যাওয়া যায় না, সেসব দেশের প্রবাসী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ টিকা দেওয়া হবে।
প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে কেন্দ্রে দুটি করে বুথ। দেওয়া হচ্ছে ৫০০ করে ডোজ।
Discussion about this post