হার্টবিট ডেস্ক
শরীয়তপুরের পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা শহরের ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল চিকিৎসক সংকটে রয়েছে । প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জেলা সদরের হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট চালু হলেও এখনও চালু হয়নি আইসিইউ।এছাড়াও চিকিৎসা সামগ্রীর সংকটও রয়েছে সেখানে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ৪১টি পদের মধ্যে শূণ্য রয়েছে ১৫টি পদ। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ১২৮টি পদের মধ্যে ৩৯টি পদ শূণ্য রয়েছে। তাই স্বদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রোগীরা যথাযথ সেবা পাচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগী পাঠানোর কারণে ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে রোগীর চাপও থাকে অনেক বেশি।
জানা যায়, সদর হাসপাতালে অক্সিজেনের সিলিন্ডার আছে ৬০টি। এগুলো ব্যবহারের ফ্লমিটার আছে ১০টি। প্রত্যেক ওয়ার্ডে দুটি করে সিলিন্ডার বাধ্যতামূলকভাবে দেওয়ার কথা থাকলেও ফ্লমিটারের সংকটের কারণে তা দেওয়া হয়নি। ফলে রোগীর চাপ বেশি থাকলে তখন এক ওয়ার্ডেরটা আরেক ওয়ার্ডে নিয়ে ব্যবহার করতে হয়।
এছাড়া জেলার বড় এ হাসপাতালের ইসিজি মেশিনটিও নষ্ট দীর্ঘদিন ধরে। নেবুলেইজার আছে ৮টি। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও তা চালানোর টেকনেশিয়ান নেই। শরীয়তপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীদের অক্সিজেন দেওয়ার সিলিন্ডারের ফ্লমিটার, এক্সরে মেশিন, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, নেবুলেইজার মেশিন সংকট রয়েছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আসা কয়েকজন রোগীর কথা থেকে জানা যায় ,পরীক্ষা করাতে গিয়ে শুনি মেশিন নষ্ট, টেকনিশিয়ান নেই।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের চিকিৎসক ও চিকিৎসা সামগ্রীর সংকট রয়েছে। আমার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে চিঠিও পাঠিয়েছি।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আমরা সদর হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট চালু করেছি। আরআইসিইউর জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। দ্রুত সব ধরনের সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
Discussion about this post