হার্টবিট ডেস্ক
খুলনায় দৈনিক কমেছে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। দীর্ঘ ৪ মাস পর গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় করোনায় মৃত্যু নেই।
এমন সুখবরে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে সবাই। এর আগে বিভাগে গত ২৭ মে করোনায় মৃত্যু শূন্য দিন ছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ১ হাজার ৮০ টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৪ জনের। যা নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১০ জন।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. জসিম উদ্দিন হাওলাদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) খুলনা বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর ৯ জুলাই বিভাগে সর্বোচ্চ ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনায় করোনা রোগী কম থাকায় সাধারণ রোগীদের জন্য ফের সেবা চালু করা হয়েছে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে। শুধু আইসিইউ বেড ছাড়া সাধারণ রোগীদের সেবা ফিরেছে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালেও।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট ১ লাখ ১১ হাজার ৮৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ১২৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৭৯১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিভাগে নতুন করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী কুষ্টিয়ায় ২৫ জন। এ ছাড়া খুলনায় আট জন, বাগেরহাট চার জন, সাতক্ষীরায় তিন জন, যশোরে ছয় জন, নড়াইল শূন্য, মাগুরায় এক জন, ঝিনাইদহ দুই জন, চুয়াডাঙ্গায় চার জন ও মেহেরপুরে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৭৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু কুষ্টিয়ায় ৭৬৩ জনের। এ ছাড়া যশোরে ৪৮৮ জন, ঝিনাইদহে ২৬৫, চুয়াডাঙ্গায় ১৮৯, মেহেরপুরে ১৮১, বাগেরহাটে ১৪৪, নড়াইলে ১২১, মাগুরায় ৯০ ও সাতক্ষীরায় ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Discussion about this post