হার্টবিট ডেস্ক
বয়স হলো এমন একটা বিষয় যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে নানা রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কারও কারও জীবন স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যেতে থাকলেও অনেকের ক্ষেত্রেই বয়সটা বেশ বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়ও বটে।
নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়- শারীরিক নানান পরিবর্তন এবং তার সঙ্গে হরমোনাল স্বাস্থ্য যোগ হয়ে বয়স একটু বাড়তির দিকে গেলেই তার প্রতিক্রিয়া আসে বড় করে।
বয়সের সাথে সাধারণত যেসব সস্যা সাধারণ বিষয়ের মতো করে মানুষের জীবনের সঙ্গী হয়ে যায় তার মধ্যে রয়েছে- পাচনতন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি।
তাই বয়স ৩০ হয়ে যাওয়ার পর কিছু পরীক্ষা করে রাখা ভালো। এতে সমস্ত রোগ প্রতিরোধ করা না গেলেও অনেক্ষ ক্ষেত্রে আগে থেকে ধারণা পাওয়া সম্ভব যে, কী অবস্থা শরীরের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে সেরকম কয়েকটি টেস্ট হলো-
কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি):
একটা বয়সে পৌঁছানোর পর সিবিসি খুবই প্রয়োজনীয় একটা পরীক্ষা। এ পরীক্ষা থেকে রক্ত শূন্যতা, সংক্রমণ এবং ব্লাড ক্যানসার জাতীয় ব্যাধিরও ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এগুলো ছাড়াও রক্তে কী পরিমাণে লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা, হিমোগ্লোবিন এবং প্লাটিলেট রয়েছে, তাও জানা যায় এ পরীক্ষা থেকে।
লিপিড প্রোফাইল:
রক্তে চর্বির পরিমাণ জানা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এটার জন্যই প্রয়োজন লিপিড প্রোফাইল। কোলেস্টেরলসহ একাধিক বিষয় পরিমাপের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়। হৃদরোগের ঝুঁকি কতটা, বা রক্তনালীতে কোনো সমস্যা থাকলে তারও ইঙ্গিত পাওয়া যায় এ পরীক্ষা থেকে।
থাইরয়েড:
অনেকে বলেন প্রতি তিন মাস পর পর থাইরয়েড টেস্ট করা উচিত। থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া, ঋতুচক্রের গণ্ডগোল, প্রজননে বাধা।
ব্লাড সুগার:
এটিও একরকম শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায়। সুগার মানেই তার হাত ধরে নানান রোগ। চোখ, হার্ট থেকে লিভার কোনোকিছুই বাদ যায় না। প্রতি ৪ মাসে একবার সুগার টেস্ট করুন। সকালে হাঁটা অভ্যাস করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান। অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেলে ইনসুলিন অবশ্যই নিন।
ব্লাড প্রেসার:
রক্ত চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকা যেমন খারাপ, কম থাকাও তেমনি খারাপ। এ সমস্যা হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। এ জন্য বয়স ত্রিশ হয়ে যাওয়ার পর মাসে অন্তত একবার প্রেসার মাপানো উচিত।
Discussion about this post