হার্টবিট ডেস্ক
কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গত সোমবারই (২০ সেপ্টেম্বর ) ঘটে গেল এক বিরল ইতিহাস।যেটা কখনো শোনা তো দূরে ভাবাটাও অসম্ভব ব্যাপার ছিল। একজনের ফুসফুস বসবে কিনা আরেকজনের শরীরে ? সেটিই সম্ভব করেছেন ঐ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এই পুরো অস্ত্রোপচারে সময় লেগেছে ৬ ঘণ্টা। রোগীকে আপাতত ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
যে রোগীর শরীরে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তার শরীরে এই ফুসফুস কেমন কাজ করছে তা বুঝতে এই ৭২ ঘণ্টা সময় নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা জগতে এ ঘটনাটিকে নয়া ইতিহাস বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঘটনার শুরু সোমবার। কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ১০৩ দিন ধরে ভর্তি ছিলেন ৪৬ বছর বয়সী এক রোগী। তার ফুসফুস একেবারেই কাজ করছিল না। আগের দুমাস ধরে তাকে একমো সাপোর্ট দিয়ে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা।
তবে শেষের দিকে এসে সেটিও আর কাজ করছিল না। ফলে চিকিৎসকের হাতে শেষ অস্ত্র ছিল ফুসফুস প্রতিস্থাপন। ওই রোগীর পরিবারকে বিষয়টি জানাতে তারা ফুসফুসের সন্ধান শুরু করেন।
এরইমধ্যে ওই রোগীর স্বজনদের কাছে খবর আসে গুজরাটের সুরাটে এক রোগীকে ব্রেনডেড ঘোষণা করা হয়েছে। আর মৃত্যুর এই খবরেই নতুন করে প্রাণ পান এই রোগীর স্বজনরা। এরপর দুই রোগীর স্বজনদের যোগাযোগ হয়, কথা হয় দুই হাসপাতালের চিকিৎসকদের। সবকিছুর সমন্বয় করে সোমবার সুরাট থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় ফুসফুসটি।
ওইদিন রাতে দমদম বিমানবন্দরে ফুসফুসটি পৌঁছানোর পর গ্রিন করিডোর করে তা নিয়ে আসা হয় হাসপাতাল পর্যন্ত। ওই রাতেই অস্ত্রোপচার করে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। কলকাতায় তো বটেই পুরো পশ্চিমবঙ্গেই এই প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হলো।
Discussion about this post