হার্টবিট ডেস্ক
দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে করোনা আর ডেঙ্গু- দুশ্চিন্তাটা যেন লেগেই আছে। কিন্তু এটাকে যদি এড়িয়ে চলতে না পারেন তবে মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরেও দানা বাঁধবে অনেক রোগ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শরীরের কোথায় কেমন ক্ষতি করে দুশ্চিন্তা নামক শব্দটি।
স্নায়ুতন্ত্র
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে আমাদের স্ট্রেস হরমোনগুলো দ্রুত নিঃসৃত হয়। যা আমাদের হার্টবিট ও শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত করে। ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দেয়, হাত ও পায়ের রক্ত চলাচলও বেড়ে যায়। এর দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব আপনার শিরা-ধমনি, হৃদযন্ত্র, পেশি এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পড়বে।
শ্বাস-প্রশ্বাস
যাদের হাঁপানি বা ফুসফুসের রোগ আছে, তাদের জন্য দুশ্চিন্তা মারাত্মক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। দুশ্চিন্তার কারণে দ্রুত ও জোরে শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। আর তাতেই দেখা দেয় কিছু সমস্যা।
হৃদযন্ত্র
দুশ্চিন্তা আপনার উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চমাত্রার উদ্বেগ স্ট্রেস হরমোনগুলোকে ট্রিগার করে। যা আপনার হৃদস্পন্দন দ্রুত ও হৃৎপিণ্ডে পেশীকে শক্ত করে দেয়। যদি এটি বারবার ঘটে, তবে আপনার রক্তনালীগুলো ফুলে যেতে পারে। যার কারণে ধমনীতে হতে পারে ব্লক।
পরিপাকতন্ত্র
দুশ্চিন্তার পেছনেই যদি মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয় থাকে, তবে কমে আসতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এতে শরীর জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে না। অতিমাত্রায় টেনশনের ফলে ফ্লু, হারপিস ও অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। একইসঙ্গে এটি আলসার ও কিডনির সমস্যাও তৈরি করে।
Discussion about this post