হার্টবিট ডেস্ক
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৩১৩ জনে।
একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৭৬ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জন।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনকে নিয়ে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৭ হাজার ৩১৩ জন আর শনাক্ত হওয়া এক হাজার ৩৭৬ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জন সরকারি হিসেবে শনাক্ত হলেন। করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪২৭ জন, তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ছয় হাজার ১৩৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার চার দশমিক ৭৯ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৮ হাজার ৯৮৬টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৮ হাজার ৭৩৬টি।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৬ লাখ ২৭ হাজার ১৫০টি, এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৭০ লাখ ৩০ হাজার ২৩১টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯১৯টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন আর নারী ১৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৫৫৬ জন আর নারী মারা গেলেন ৯ হাজার ৭৫৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।
যে ৩৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুইজন করে আর রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন একজন করে।
মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচজন আর বাড়িতে মারা গেছেন একজন।
Discussion about this post