হার্টবিট ডেস্ক
ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন এর উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কার্যকারিতা বেড়ে ৯৪ শতাংশ হয়। প্রথম ডোজের পর দুই থেকে ছয় মাস ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হলে মাঝারি ও গুরুতর আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই সুরক্ষা পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে এই দাবি জানিয়েছে কোম্পানি।
যুক্তরাষ্ট্রে এক ডোজের টিকা হিসেবে অনুমোদন পাওয়া একমাত্র টিকা হলো জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। এটির এক ডোজে ৭০ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া যায়।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পল স্টোফেলস বলেন, কোম্পানির হাতে এখন প্রমাণ রয়েছে যে, বুস্টার ডোজে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা বাড়ায়।
কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, দুই মাসের ব্যবধানে বুস্টার ডোজ দেওয়ার ফলে অ্যান্টিবডি চার থেকে ছয়গুণ বাড়ে। কিন্তু প্রথম ডোজের ছয় মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হলে অ্যান্টিবডির মাত্রা ১২ গুণ বাড়ে। গত মাসে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দুই ডোজের ব্যবধান বেশি হলে সুরক্ষার মাত্রাও বাড়ে। এটি এমআরএনএ প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত টিকাগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমআরএনএ প্রযুক্তির টিকার ইমিউনিটি সময়ের সঙ্গে কমে আসছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের বৈশ্বিক আর অ্যান্ড ডি প্রধান মাথাই মাম্মেন জানান, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে গবেষণার তথ্য জমা দিয়েছেন এবং বুস্টার ডোজের অনুমতি চাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
বুস্টার ডোজে ইতিবাচক ফলাফল আসলেও কোম্পানিটি শিশুদের জন্য এক ডোজের টিকাটি প্রয়োগ পিছিয়ে দিয়েছে। ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা হয়নি। এক্ষেত্রে তারা মডার্না ও ফাইজারের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
মাম্মেন জানান, শিশুদের নিয়ে আমাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এই বছরের শেষ দিকের আগের শুরু হবে না। সূত্র: রয়টার্স
Discussion about this post