আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বন্দিদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত দেশের ৬৮টি কারা হাসপাতালের ১৪১টি পদের বিপরীতে এখনো ২৯টি পদ খালি রয়েছে। এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে দাখিল করেছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) আদালত মৌখিকভাবে বাকি ২৯টি পদ পূরণ করতে বলেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাম্মী আকতার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। কারা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম।
২০১৯ সালে এ বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. জে আর খাঁন (রবিন)।
পরে একই সালের ২৩ জুন জারি করা রুলে কারাগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিতে মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
সারাদেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
পরে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে কারা কর্তৃপক্ষ কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা, অনুপাত এবং কারা চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা করে প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক মাত্র ৯ জন।
আরও বলা হয়, ২০ জন চিকিৎসককে বিভিন্ন কারাগারে পদায়ন করা হলেও ১৬ চিকিৎসক এখন পর্যন্ত যোগ দেননি। এরপর আদালত শূন্যপদ পূরণ করতে বলেন।
সম্প্রতি আদালতে কারা কর্তৃপক্ষ ফের প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৪১। কর্মরত চিকিৎসককের সংখ্যা ১১২ জন (প্রেষণে ৭, সংযুক্ত ১০৫)। বর্তমানে শূন্যপদ রয়েছে ২৯টি। জে আর খাঁন রবিন জানান, আদালত মৌখিকভাবে বলেছেন এসব শূন্যপদ পূরণ করতে।
Discussion about this post