হার্টবিট ডেস্ক
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে টিকা কর্মসূচিতে গতি আনার পাশাপাশি আকারও বড় করার নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে । দেশের সব মহানগরীর নিয়মিত টিকা কেন্দ্রের পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অডিটোরিয়াম ও হলরুমে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এসব কথা জানান।
এ সময় টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি মাসে এক কোটিসহ মোট দুই কোটি ডোজ করোনার টিকা দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা মজুত রয়েছে। আগামীতে টিকা পাবার উৎস নিশ্চিত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি মাসে কর্মসূচির মাধ্যমে এক কোটিসহ প্রায় দুই কোটির মতো টিকা দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, বয়স্ক মানুষদের জন্য প্রতি সপ্তাহে স্পট নিবন্ধনের মাধ্যমে একদিন করে টিকা দেওয়া হবে। শুধুমাত্র ৬০ বছর ও তার ওপরের বয়সী নাগরিকরা এই সুবিধা পাবেন।
তিনি বলেন, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাদানের বিষয়েও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
দেশের স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার কারণে আগের মতো টিকা কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব হবে না উল্লেখ করে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, এই অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি উপজেলা মিলনায়তন ও উপজেলার যে কোনো বড় হলরুমে টিকাদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত টিকাদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহকারীদের মাধ্যমে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। সপ্তাহের যে দুই দিন নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম থাকবে না, এমন দিনগুলোতে সেখানে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি আরো জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা টিকা কেন্দ্র হিসেবে একটি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ইউনিয়ন পরিষদ ঠিক করবেন। টিকা প্রত্যাশীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকার জন্য নিবন্ধন করবেন এবং এসএমএস প্রাপ্তি সাপেক্ষে নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে টিকা নেবেন।
সবশেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের টিকার বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী শিশুদের টিকার আওতায় আনার কাজ করে যাচ্ছি।
Discussion about this post