হার্টবিট ডেস্ক
করোনা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে যারা মারা গেছেন, তাদের বেশিরভাগ আগে থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। এক সপ্তাহে মৃতদের ৬৪ দশমিক ৪৭ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। এরপর রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি-জনিত রোগ, বক্ষব্যাধি, হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগের আক্রান্তরা।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা বিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে সপ্তাহভিত্তিক বিশ্লেষণে এ তথ্য জানিয়েছে।
অধিদফতর জানায়, গত সপ্তাহে (১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯৪ জন। তাদের মধ্যে কোমর্বিডিটি বা আগে থেকেই অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন ১৫২ জন। শতকরা হিসাবে যা ৫১ দশমিক ৭০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন ৬৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, উচ্চ রক্ত চাপে আক্রান্ত ৬৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, কিডনিজনিতে রোগে আক্রান্ত ছিলেন ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ, বক্ষব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ, হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ, থাইরয়েডজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন চার দশমিক ৬১ শতাংশ, স্ট্রোকে আক্রান্ত ছিলেন ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ, লিভারজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ, রক্তজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ, নিউরোলজিক্যাল রোগে আক্রান্ত ছিলেন ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বাতজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ।
তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, কোমর্বিডিটিতে মৃত্যুর ১৩টি রোগের এ তালিকায় থাকা ক্যান্সার এবং মানসিক সমস্যাজনিত রোগে আক্রান্তদের কেউ করোনায় মৃত্যু হয়নি।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘এখন আমাদের সংক্রমণ কম। কিন্তু মৃত্যু যে রকম কম হবে বলে আশা করছি, সে রকম কমছে না। যদিও আজ ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেটা গত প্রায় চার মাসের মধ্যে কম।’
অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে। এটা আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি জানিয়ে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘যাদের অসংক্রামক ব্যাধি বা কোমর্বিডিটি রয়েছে, তারা যেন সাবধানে থাকেন। ভালোভাবে নিয়ম করে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।’
যারা অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত, তারা যেন তাদের সব চিকিৎসা চালিয়ে যান, অনুরোধ করে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘তারা চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন, চিকিৎসকের পরামর্শে থাকবেন, সব স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলবেন এবং কোনও ধরনের অসুস্থতা হলে হাসপাতালে যেতে হবে।’
Discussion about this post