অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
একটি সবিনয় প্রস্তাবনা : এম বি বি এস কোর্সের কারিকুলামে ক্রিটিকেল কেয়ার মেডিসিন মৌলিক জ্ঞান আর দক্ষতা অর্জন অন্তর্ভুক্তি আর বর্তমান এ বিষয়ে পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষা আরও শক্তিশালী আর ও সমৃদ্ধ করা আর সমসাময়িক করা।
বর্তমানে যারা চতুর্থ বা পঞ্চম বর্ষে তাদের কোর্সের কিছু সময় নেওয়া যেতে পারে এই প্রশিক্ষণের জন্য।
বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির সাম্প্রতিক অবস্থা আর আগামি দিনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বলা যায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিষয়ে একজন গ্রাজুয়েট ডাক্তারের জ্ঞান আর ব্যবহারিক হাতে কলমে জ্ঞান প্রয়োজন ।
তাদের এর মৌলিক ট্রেনিং দেয়া যায় জরুরি প্রয়োজন হিসাবে।
ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন এ ফেলোশিপ আরও গুরুত্ব দিয়ে চালু হয়া উচিত। দেশে এ বিষয়ে পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষা আর ডিগ্রি চালু থাক্ লেও এর গুরুত্ব আরও বাড়ানো উচিত আর এম বি বি এস কারিকুলামে সত্বর কিছু পরিবর্তন করে ক্রিটিকেল কেয়ার বিষয়ে শিক্ষা চালু করা উচিত।
আই সি ইউ ইউনিটে থাকে অনেক আধুনিক আর জটিল যন্ত্রপাতি তাই একজন সাধারন এম বি বি এস ডাক্তার একে চালাবার মত ক্ষমতা অর্জন করেন না। তাই তার শিক্ষা কারিকুলামে এ ব্যাপারে মৌলিক জ্ঞান আর দক্ষতা অর্জনের ব্যবস্থা করা দরকার। তা খুব জরুরি।
শিক্ষা হতে পারে নিম্নের বিষয়ে
১। একজন প্রচণ্ড অসুস্থ লোকের চিকিৎসা প্রাথমিক আর অগ্রসর ব্যবস্থাপনা
২। আই সি ইউ ইউনিটের মৌলিক কাজকর্ম আর কর্ম পদ্ধতি
৩। আই সি ইউ তে দেখা যায় এমন কিছু ইসু যেমন পানি আর ইলেক ট্র লাইট ব্যবস্থাপনা , এসিড বেস ব্যবস্থাপনা এসব ব্যবস্থাপনা জানা।
৪। সফল রিসাসিটেশন বা (জ্ঞান বা চেতনা ফিরিয়ে আনা) যে দক্ষতা দরকার তা জানা ।
৫। আই সি ইউ তে ব্যবহৃত ব্লাড প্রোডাক্ট , ফ্লুয়িড ,ওষুধ সম্বন্ধে জ্ঞান ।
৬। ম্যানিকিন বা মানব মডেলের উপর হাতে কলমে শিক্ষা ( এফ আই এম সি প্রকল্পের সময় প্রায় মেডিক্যাল কলেজে ক্লিনিক্যাল স্কিল রুম আছে এই স্কিল ঘরে প্রশিক্ষন দেয়া যেতে পারে )
৭। ক্রিটি ক্যাল পরিস্থিতিতে ট্রাবল শুটিং সামলানো শেখা, ।
সরকারি আর বেসরকারি সব মেডিক্যাল কলেজে এই শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা।
ভারতে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এমন শিক্ষা প্রশিক্ষণের ভাবনা করছেন তারা চালু করবেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আর বি সি পি এস আর বি এম ডি সি র কর্তারা আর মেডিক্যাল এডুকেশন আর বি এম এ আর কর্তারা এ বিষয়ে ভাবতে পারেন।
Discussion about this post