হার্টবিট ডেস্ক
শিশুদের টিকা কার্যক্রম সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ফেসবুক লাইভে এসে এ কথা জানান।
শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি অনেক সংবেদনশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।আমরা চেষ্টা করছি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন মাথায় রেখে কীভাবে শিশুদের টিকার আওতায় আনা যায়। স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে, তাই এই কাজটি দ্রুত করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ভ্যাকসিন প্রদান পরিকল্পনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি প্রবাসী শ্রমিকরা। তাদের টিকাদানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রবাসী শ্রমিক-বিদেশগামী শিক্ষার্থীসহ যাদের সুনির্দিষ্ট টিকা ছাড়া দেশের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়, সে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি এবং তাদের টিকা দিয়ে যাবো।
এয়ারপোর্টে র্যাপিড আরটি-পিসিআর টেস্ট নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এ কাজে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছিল, যারা আবেদন করবেন; সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কাগজপত্র-সক্ষমতা যাচাই করে কিছু ল্যাবরেটরিকে যেন অনুমোদন দিই। সে লক্ষ্যে যাচাই-বাছাই করে আমরা কয়েকটি ল্যাবরেটরিকে অনুমোদন দিয়েছিলাম। এরমধ্যে দুটো প্যারামিটার বা নির্দেশনা ছিল দ্রুত ল্যাব স্থাপন করা এবং কম দামে টেস্ট কোন ল্যাব করতে পারবে। তার ভিত্তিতে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিয়েছিলাম। এরপর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে সেটা পাঠিয়েছি।
‘আমাদের বলা হয়েছিল টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও একটি কমিটি করে দেওয়ার জন্য। সেই কমিটি পরে যেসব ল্যাবরেটরি কাজ করবে তাদের সক্ষমতা কার্যক্রমকে মনিটরিং করবেন। এ ছাড়া তাদের কাজের মান পর্যালোচনা করবে এবং তাদের টেস্টের ভ্যালিডিটি দেখবেন।’
অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নির্বাচিত ল্যাবরেটরি থেকে অথবা অপেক্ষমাণ যেসব ল্যাবরেটরি রয়েছে তাদের দিতে পারেন, এটা সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ার। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু নতুন করে করার নেই।’
Discussion about this post