হার্টবিট ডেস্ক
সরকার দেশে আবারও স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে। সপ্তাহের নির্ধারিত একদিন এ সুযোগ থাকবে।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ফেসবুক লাইভে এসে এ কথা জানান।
এ সময় তিনি টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে জানান, প্রতি সপ্তাহে নির্ধারিত একদিনের ভিত্তিতে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত এবং ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা নিতে বলা হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘টিকা দেওয়ার সময় যারা বয়স্ক, তারা যেন পান—এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।’
‘আমাদের পর্যবেক্ষণ বা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমিত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটা মাথায় রেখে টিকাদান কার্যক্রমে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা মজুত রয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়ার উৎস নিশ্চিত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি মাসে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক কোটিসহ প্রায় দুই কোটির মতো টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে, আর তাই সেসব স্কুল কলেজে আগে যেখানে টিকাদান কর্মসূচি চলতো, বিশেষত স্কুল, সেই জায়গাগুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হয়েছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি উপজেলা অডিটোরিয়ামে এবং উপজেলার যেকোনও বড় হলরুমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত টিকাদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহকারীদের মাধ্যমে ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। সপ্তাহের যে দুদিন নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম থাকবে না, এমন দুই দিন করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তারা কোভিড-১৯-এর টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে একটি ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করবেন। টিকা প্রত্যাশীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকার জন্য নিবন্ধন করবেন এবং এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষে নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে টিকা নেবেন বলে জানান তিনি।
Discussion about this post