হার্টবিট ডেস্ক
কম্বোডিয়া সরকার স্কুল খোলার আগেই শিশুদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনছে। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির ছয় থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন শিশুদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এদিন তার নাতি-নাতনি ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবারের শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য এবং জীবন রক্ষা করতে তাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা আমাদের কর্তব্য, কারণ আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, স্কুল খুলে দেওয়া হলে বাচ্চারা এবং শিক্ষকরা যেন করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকে।
স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, দেশটিতে প্রায় শতভাগ চীনের ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হচ্ছে। শুক্রবার চীনের তৈরি ভ্যাকসিন সিনোভ্যাক প্রয়োগের মাধ্যমে শিশুদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদনেও এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন ইতিমধ্যে সারাবিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে পূর্ণ বয়স্কদের শরীরে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে। তবে চীন শিশুদের উপর প্রয়োগের জন্য সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে।
কম্বোডিয়া ইতিমধ্যে ১১ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম চলছে। এবার ছয় থেকে ১১ বছর বয়সীরাও ভ্যাকসিন পাচ্ছে। তিন থেকে পাঁচ বছর বয়েসী শিশুদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া নিরাপদ কি না তা গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।
কম্বোডিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ। দেশটির প্রায় ৭২ শতাংশ নাগরিক ইতিমধ্যে অত্যন্ত এক ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কম্বোডিয়ায় ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী হুন সেন জানান, স্কুল, পর্যটন ও শিল্প কারখানা পুরোপুরি খোলে দিতে দ্রুত ভ্যাকসিন প্রয়োগের চেষ্টা করছে তার দেশ। এছাড়া ভ্যাকসিনের পূর্নাঙ্গ ডোজ গ্রাহক বিদেশি পর্যটকদেরও ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন তিনি।
Discussion about this post