হার্টবিট ডেস্ক
প্রেসক্রিপশন তো চিকিৎসকের কাছ থেকেই নেবেন। তারপরও সেসব ওষুধ সেবনে মেনে চলতে হবে কিছু সতর্কতা। যেমন কিছু ওষুধের সঙ্গে কিছু খাবার খেলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে ওই ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
জাম্বুরা
অন্তত ৫০টি ওষুধের সঙ্গে সাইট্রাস জাতীয় এ ফল খেতে নিষেধ করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যালার্জির ওষুধ ফেক্সোফেনাডিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় ফলটি। আবার অ্যাটরভাসটাটিন (লিপিটর) জাতীয় ওষুধের বেলায় কার্যকারিতা অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিতে পারে এটি।
দুধ
দুধের কারণে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক আছে যা শরীর ঠিকঠাক শোষণ করতে পারে না। দুধের ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামই এর জন্য দায়ী। তাই কোনও অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের জন্য চিকিৎসকের কাছ থেকে এও জেনে নিন, এর সঙ্গে কোন কোন খাবার খাওয়া ঠিক হবে না।
ডার্ক চকোলেট
এমনিতে শরীরের জন্য উপকারী হলেও রিলাক্সেশন বা ঘুমের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে ডার্ক চকোলেট। আবার স্টিমুলেন্ট জাতীয় ওষুধের (যেমন-রিটালিন) কার্যকারিতা মাত্রাতিরিক্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, অ্যান্টি-ডিপ্রেশেন্ট জাতীয় ওষুধের সঙ্গে চকোলেট খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে মারাত্মক আকারে।
আয়রন সাপ্লিমেন্ট
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে অনেকে আয়রন সাপ্লিমেন্ট নিয়ে থাকেন। এটি থাইরয়েড চিকিৎসায় ব্যবহৃত লেভোথাইরক্সিন-এর কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। আবার আয়রন সাপ্লিমেন্টের সঙ্গে অন্য কোনও মাল্টিভিটামিন খেতে হলে আগেই জেনে নিন ওই মাল্টিভিটামিনেও আয়রন আছে কিনা। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কফি
লিথিয়াম ও ক্লোজাপিন জাতীয় অ্যান্টি-সাইকোটিক ড্রাগের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় কফি। আবার অন্য কিছু ওষুধ আছে যেগুলোর কার্যকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে (যেমন-অ্যাসপিরিন, এপিনেফ্রিন, অ্যালবিউটেরল)। শরীরের আয়রন শোষণ করা ও সেটাকে কাজে লাগানোর ক্ষমতাও কমিয়ে দেয় কফি।
অ্যান্টিহিস্টামিন
অনেক সময় চিকিৎসকরা রক্তচাপের ওষুধের সঙ্গে অ্যান্টিহিস্টামিন নিতে বারণ করে থাকেন। কারণ এটি রক্তচাপের ওষুধের কার্যকারিত কিছুটা কমিয়ে দেয়। এতে আবার হৃৎস্পন্দও অস্বাভাবিক বেড়ে যেতে পারে। তাই রক্তচাপের সমস্যা থাকলে অ্যালার্জির চিকিৎসার জন্য নিজে থেকে অ্যান্টিহিস্টামিন খাওয়া শুরু না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন আগে।
মৃগীরোগের ওষুধ
জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিলকে অকার্যকর করে দিতে পারে অ্যান্টি-এপিলেপটিক ওষুধ। গবেষণায় আরও দেখা গেছে ওই ওষুধটি আরও কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে।
ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার
রক্ত পাতলা করে জমাটবদ্ধতা দূর করতে অনেকে ওয়ারফারিন ওষুধ সেবন করে থাকেন। কিন্তু এর সঙ্গে উচ্চমাত্রার ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ব্রকোলি, ধনিয়া পাতা, পালং শাক এসব মাত্রাতিরিক্ত খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ব্লাড থিনার জাতীয় ওষুধ সেবন করলে ভিটামিন কে খেতে হবে পরিমিত মাত্রায়, যাতে রক্তের মধ্যে ওয়ারফারিনের মাত্রা সবসময় সমান থাকে।
সূত্র: ওয়েব এমডি
Discussion about this post