হার্টবিট ডেস্ক
রাজধানীতে ক্রমেই বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন তিন জন। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৮৮ জন। এ যখন অবস্থা তখনও উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলছেন, সিটি করপোরেশন থেকে ছিটানো ওষুধের মান ঠিক আছে আর বৃষ্টি কমলে ডেঙ্গুর প্রকোপও কমবে।
উত্তর সিটির ডেঙ্গুর জন্য সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের তালিকায় রয়েছে মিরপুরের নাম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে বছরের প্রথম ৬ মাসে ডেঙ্গুতে কোনো রোগীর মৃত্যু না হলেও জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৫৭ জন মারা গেছেন ডেঙ্গুতে। যার মধ্যে চলতি মাসেই ১১ জন।
ভুক্তভোগীরা জানান, মশার কারণে আমাদের জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। বিকাল হলেই ঘরে মশারি টাঙিয়ে বসে থাকতে হয়।
খরচ দেওয়া হবে বলে নাগরিকদের সিটি করপোরেশন থেকে ছিটানো ওষুধ পরীক্ষার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলছেন, গ্রাহক পর্যায়ে প্রতিটি মহল্লার ফার্মেসিতে নিশ্চিত করতে হবে লার্ভা ধ্বংসের কীটনাশক।
উত্তরের সিটি মেয়র বলেন, ফার্মেসির মাধ্যমে মশার লার্ভা মারার জন্য কিটনাশক পাওয়া যাবে, তখন কিন্তু সবাই সেটি কিনে ছাদে বা যেখানে পানি জমে সেখানে দিতে পারবেন। এখন কিন্তু সেই ধরনের কোনো ওষধ মার্কেটে নেই। এই ওষুধটা যেন সহজে পাওয়া যায় এজন্য আমরা বলেছি এটিকে সহজীকরণ করার জন্য। কীটনাশক ওষুধটা আনতে গেলেও এটার ডিউটে প্রায় ৭০ থেকে ৯০ পারসেন্ট পড়ে যায়।
শুধু সেপ্টেম্বরের প্রথম দু সপ্তাহে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৫৩ জন।
Discussion about this post