হার্টবিট ডেস্ক
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলছে টিকাদান প্রয়োগ কর্মসূচি। দেশে ফিরে আসা প্রবাসী ও বিদেশগামীদেরও প্রাধান্য দিয়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে প্রথম ডোজ হিসেবে চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। সৌদি আরবে প্রথমে এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন না থাকায় সংশয় সৃষ্টি হয় দেশটিতে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের মাঝে।
তবে সম্প্রতি সৌদি আরব সরকার জানিয়েছে চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন যারা নিয়েছে তারাও দেশটিতে যেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে দেশটিতে অনুমোদিত ভ্যাকসিনগুলোর মাঝে যেকোনো একটির বুস্টার ডোজ নিতে হবে তাদের। এক্ষেত্রে তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
‘বুস্টার ডোজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। ইতোমধ্যেই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এটি নিয়ে আলাপ হয়েছে। বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হবে’— বলেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত চারটি ভ্যাকসিনের সঙ্গে সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাককে যুক্ত করেছে সৌদি আরব সরকার। চীনের ভ্যাকসিন নিলে দেশটিতে যাওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, তারা সিনোফার্মের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা ব্যক্তিদের সে দেশে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে দেশটিতে ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়ে থাকা চারটি ভ্যাকসিনের যেকোনো একটির বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে হবে। অর্থাৎ যারা চীনের ভ্যাকসিন নেবেন, তাদের একটি অতিরিক্ত ডোজ নেওয়া লাগবে।’
ইমরান আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশে ঢাকার বাইরে বেশি দেওয়া হয়েছে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন। যদি তাদের মাঝে কেউ সৌদিআরবগামী হয়ে থাকেন তবে বিবেচনা করে তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের পাসপোর্ট, টিকিট এবং ভ্যাকসিন কার্ড সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।’
Discussion about this post