হার্টবিট ডেস্ক
দেশে করোনা সংক্রমণের হার কমলেও স্বস্তির কারণ নেই ।তেবে এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বঙ্গমাতা ফিল্ড হাসপাতাল কমপক্ষে আরও ৬ মাস চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, ‘দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে হার কমলেও স্বস্তির কারণ নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণের হার কমার পর পুনরায় নতুন রূপে ও নতুন ভ্যারিয়েন্টে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এই ভাইরাসের সক্রমণের হার হ্রাস পেলেও আবারও বাড়তে পারে। আর যাতে না বাড়ে সেজন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, ভ্যাকসিন নিতে হবে এবং বিদেশ থেকে যারা আসে তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সব রোগী ২ সপ্তাহেই সুস্থ হয় না। কোনো কোনো রোগীর সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। আবার করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও রোগীদের যে সকল জটিলতা দেখা যায় তা থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘমেয়াদী ফলোআপ চিকিৎসার আওতায় থাকা প্রয়োজন।’
করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার উপর গুরুত্ব দিয়ে অধ্যাপক শারফুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে আরও ৬ মাস পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বিএসএমএমইউর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কোভিড ফিল্ড হাসপাতালে বর্তমানে ৫০ জনেরও বেশি রোগী এবং কেবিন ব্লকের করোনা সেন্টারে শতাধিক রোগী ভর্তি আছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল কমপক্ষে আরো ৬ মাস চালু রাখা হবে এবং করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে বিএসএমএমইউ দেশ সেরা। মহামারীর মধ্যে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকলেও বিএসএমএমইউ খোলা ছিল এবং বর্তমানেও খোলা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কার্যক্রম চালু রয়েছে।’
করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসাসেবাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে বিএসএমএমইউ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদান, ভ্যাকসিন কার্যক্রম, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা কার্যক্রম, করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি অনান্য রোগীদের প্রয়োজনীয় অপারেশনসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ ভিসি।
Discussion about this post