হার্টবিট ডেস্ক
টানা দুই দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুতে নারীর সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১ জন। এদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) করোনায় মারা যান ৪৮ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, আর নারী ২৬ জন।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনের তথ্য থেকে এসব জানা গেছে।
দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৭ হাজার ৩৫৮ জন, আর মোট নারী মারা গেছেন ৯ হাজার ৫৭৩ জন।
গত ১২ আগস্ট দেশে করোনা মহামারিকালে প্রথম পুরুষ মৃত্যুকে ছাড়িয়ে যায় নারী মৃত্যু। সেদিনই প্রথমবারের মতো একদিনে মৃত্যুর তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারী মৃত্যু বেশি ছিল। সেদিন অধিদফতর জানায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৭ জন, আর নারী ১০৮ জন।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে পুরুষ আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুহার বেশি ছিল। নারীর তুলনায় পুরুষ বাইরে যান বেশি, যার কারণে তারা আক্রান্ত হন বেশি। আর আক্রান্ত হলে মৃত্যুও বেশি হবে— এতদিন জানিয়ে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। যে কারণে নারীদের আক্রান্ত এবং মৃত্যুহার কম ছিল। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে নারী মৃত্যু বেড়ে যায়। আর বর্তমানে দৈনিক মৃত্যুতে পুরুষের তুলনায় কোনো কোনো নারী মৃত্যু বেশি হচ্ছে।
নারী মৃত্যুর জন্য বিশেষজ্ঞরা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের কথা বলেছেন। সেইসঙ্গে টিকা গ্রহণে নারীর পিছিয়ে থাকাতেও কারণ হিসেবে বলছেন তারা।
জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ) নাইট্যাগ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ মনে করেন, টিকা গ্রহণে পিছিয়ে থাকার কারণে নারী মৃত্যু বাড়ছে।
হরমোনাল কারণে নারীরা এতদিন সুরক্ষা পেলেও টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের এগিয়ে থাকার কারণে নারী মৃত্যু বেশি।
তিনি বলেন, ‘টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই নারীর হার কম ছিল। এখনও তাই। যে কারণে পুরুষরা টিকা নিয়ে সুরক্ষা পেলেও নারীরা ততটা পাচ্ছেন না।’
Discussion about this post