হার্টবিট ডেস্ক
করোনা টিকার প্রথম ডোজে ৯৬ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে মৃত্যুর সম্ভাবনা। অন্যদিকে টিকার দু’টি ডোজ নিলে এই হার দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ তথ্য জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এপ্রিল-মে মাসে যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই টিকা না নেওয়া ব্যক্তি। এরপর টিকা নেওয়া শুরু হলে দেশটিতে মৃত্যু কমে আসে। ভারত সরকারের কোভিড টাস্কফোর্স দলের প্রধান ভি কে পাল বলছেন, ‘এখন করোনার টিকা সহজলভ্য রয়েছে। তাই টিকা নিতে মানুষকে অনুরোধ করা হচ্ছে।’
তিনি নিশ্চিত করে বলেন, টিকা নিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হবে না।
দেশটির সরকার বলছে, করোনা টিকা নেওয়ার পরও অনেকে ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তবে তাদের মধ্যে কোভিড সংক্রান্ত ‘মৃত্যুর সম্ভাবনা কম’। এছাড়া টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত হলেও তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির হারও অনেক কম।
করোনা আক্রান্ত হয়ে ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যাও। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মানুষের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে শুক্রবার দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে, সঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের হার নেমেছে ২ শতাংশের নিচে।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৭৩ জন মানুষ। অন্যদিকে বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা আরও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ২৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে দেশটিতে সংক্রমণের হার নেমে এসেছে ২ শতাংশের নিচে। সর্বশেষ তথ্যে এই হার ১ দশমিক ৯৬ শতাংশে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ভারতে এখন পর্যন্ত ৭১ কোটিরও বেশি মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন।
Discussion about this post