হার্টবিট ডেস্ক
২০২২ সালের আগে সম্ভবত আর করোনাভাইরাসের টিকা রফতানি শুরু করতে পারছে না ভারত। এই সময়ের মধ্যে দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই টিকার আওতায় চলে আসবে বলে আশা করছে দিল্লি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবগত সূত্রের বরাতে এই খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
গত এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম বড় টিকা রফতানিকারক দেশ ছিলো ভারত। অনুদান ও বাণিজ্যিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডোজ টিকা রফতানি করে তারা। কিন্তু করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারত বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে রফতানি বন্ধ করে দেয় দেশটি।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত কোভিড-১৯ টিকা রফতানি ফের শুরু করতে এখনও কিছু সময় বাকি থাকলেও, মনে হচ্ছে না এটা আগামী বছরের আগে শুরু করা যাবে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা ভালো আর মনে হচ্ছে নতুন আক্রান্ত হওয়া স্থিতিশীল রয়েছে তারপরও আমাদের সুরক্ষা সরিয়ে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না।’
গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব রাজেশ ভূষণ জানান টিকা রফতানি ফের শুরুর আগে নিজ দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বিশ্বের প্রায় ৯৩টি দেশ ছাড়াও জাতিসংঘের স্বাস্থ্য কর্মী এবং তাদের শান্তিরক্ষীদের জন্যও টিকা রফতানি করেছে ভারত। সেরাম ইনস্টিটিউটের মতো ভারতের টিকা উৎপাদকেরা তাদের সরবরাহ প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে রফতানি আবারও শুরু করতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
Discussion about this post