হার্টবিট ডেস্ক
দেশে এখন পর্যন্ত ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া হলেও স্কুল শিক্ষার্থীদেরও কভিড টিকার আওতায় আনার চিন্তা করছে সরকার। স্কুলগামী শিশুদের যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার ঢাকার তেজগাঁও মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নার্সিং মিসওয়াইফারি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের যে কোনো টিকা দেওয়া যাবে। তবে এর নিচে যাদের বয়স তাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য দেশে আমরা দেখেছি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনে তারা ফাইজার এবং মডার্নার টিকা দিয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলে তাদের পদ্ধতিটা ফলো করতে হবে।
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি টিকা পেয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব শিক্ষার্থী, মানে চিকিৎসা শিক্ষার বাইরে যারা আছে, তাদেরও টিকাদান কার্যক্রমে নিয়ে আসব। ইতোমধ্যে অনেককে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সবাইকে টিকা দিয়ে দিতে পারব।
মেডিকেল শিক্ষার বাইরে অন্য শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।
দেশে নার্সের সংখ্যা তুলনামূলক কম জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের পরিবর্তে তিনজন নার্স দরকার। এদিক থেকে আমরা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি। সরকারি ও বেসরকারি মিলে বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০ হাজার নার্স রয়েছে। নার্সের সংখ্যা আরও কম ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ নিয়ে এটি বাড়াতে এখন চিকিৎসকের সমান করা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষক যে কয়জন আছে, তার তিন গুণ নার্স করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী নার্সের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকার সাড়ে ১৬ কোটি টিকা কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে নতুন করে ৬ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি ডোজ করে আগামী তিন মাসে এই টিকা দেশে পৌঁছাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আরও ১০ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা কেনা হবে। সেইসঙ্গে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় টিকা আসবে।
ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে সব টিকা চলে আসবে আশা রেখে তিনি বলেন, তাহলে যত শিক্ষার্থী আছে, শিক্ষক আছে, সবাই টিকার আওতায় চলে আসবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা পাওয়া গেলে আবার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর চিন্তা করছে সরকার। গণটিকা কর্মসূচিতে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দিতে যথেষ্ট টিকা হাতে রয়েছে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post