হার্টবিট ডেস্ক
শিশুদের মায়ের বুকের দুধ পানে ডেঙ্গু হতে পারে। সেই সঙ্গে ডেঙ্গু সংক্রমিত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণেও হতে পারে এই রোগ।
রোববার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ- বিসিএসআইআরের আয়োজিত ডেঙ্গু ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমনটি জানানো হয়।
এতে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান গবেষক ড. সেলিম খান আরও জানান, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় মশার কামড়জনিত রোগে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে ডেনভি-৩ নামে ডেঙ্গু রোগের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এই ধরনে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ঢাকায়। ২০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে এ ধরনটি শনাক্ত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ মুন্সি বলেন, ২০১৭ সালের আগে ডেনভি-১, ২-তে আক্রান্ত হয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে অনেকের। কিন্তু ডেনভি-৩ এর বিরুদ্ধে এই ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি।
তিনি বলেন, যারা আগের দুই ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা নতুন করে ডেনভি-৩ আক্রান্ত হলে হেমোরেজ বা সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়েছে। তাই এবার মৃত্যু বেশি।
বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপ যা ডেনভি-১, ডেনভি-২, ডেনভি-৩ এবং ডেনভি-৪ এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এই ভাইরাসের ৪টি সেরোটাইপের মধ্যে ৬৫-৭০ শতাংশ এমিনো এসিড সিকোয়েন্সের মিল আছে। ভাইরাসটি এডিস মশা দ্বারা বাহিত হয় এবং মশার মাধ্যমে মানবদেহে সংক্রমিত হয়।
Discussion about this post