হার্টবিট ডেস্ক
করোনা মোকাবিলায় এখন উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের ভার্চুয়াল বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে ভ্যাক্সিন দিতে না পারাকে দায়ী করে তিনি বলেন, জুলাই এবং আগষ্ট মাসে করোনার চরম ভয়াবহতা দেখেছে দেশ। এই দুই মাসে মারা গেছেন ১১ হাজার ৬৯২ জন। করোনা পরিস্থিতি আগামীতে কোন পর্যায়ে যাবে তা কেউই জানে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, গেলবার করোনা আক্রান্তদের ৯০ শাতাংশ ছিলেন গ্রামীণ জনগোষ্ঠী। আক্রান্তদের অনেকে দেরিতে হাসপাতালে আসায় তাদের সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি। তাদের ভ্যাক্সিনও নেয়া ছিলো না। তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি ছিলো। এর সাথে অনেকে মনে করেন গ্রামের স্থানীয় হাসপাতালগুলোর সেবার মান ভালো না, তাই তারা জেলা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকার কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভিড় করেন। কিন্তু, এখন উপজেলা পর্যায়ের হাসপতালেও সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছে সরকার।
সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, চিকিৎসার চাইতে প্রতিরোধই সবসময় করোনা মোকাবিলার জন্য ভালো উপায়। তাই, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, ২৪ কোটিরও বেশি টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী এসব টিকা মানুষকে দিতে পারলে আমারা দ্রুত করোনা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো।
সম্মেলনে করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের বরাবরের মতই জনগণের সেবায় নিবেদিত থাকার আহ্বানও জানান বক্তারা।
Discussion about this post