হার্টবিট ডেস্ক
দেশে মহামারী করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই ঢাকা বিভাগে শনাক্ত ও মৃত্যু অন্যান্য বিভাগ থেকেই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের ৬০ শতাংশই হয়েছে এই বিভাগে। এই সময়ে মারা যাওয়া ৮৮ জনের ৩০ জনই ঢাকা বিভাগের। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বৃদ্ধির পর রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে মৃত্যু বাড়লেও এখন সেটি কমতে শুরু করেছে।
চার সপ্তাহ ধরে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকছে। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ও নতুন রোগী কমছে। ছয় দিন ধরে দৈনিক মৃত্যু এক শর নিচে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭ হাজার ১১৬, যার ৫৯ শতাংশই ঢাকা বিভাগে। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৩৬২ জনের। মোট মৃত্যুর প্রায় ৪৪ শতাংশ হয়েছে ঢাকা বিভাগে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের খবর জানানো হয়। আর চলতি বছরের মার্চ থেকে শুরু হয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যায়। গত জুন মাস থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্ট (এ ধরনটি ভারতে উৎপত্তি) ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে নতুন রোগীও বাড়তে থাকে।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে করোনায় মৃত্যু বেড়ে যায়। জুলাই মাসে সারা দেশেই করোনা পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করে। তবে আগস্ট মাসের শুরু থেকেই সংক্রমণের তীব্রতা কমে আসে। অন্যান্য বিভাগে মৃত্যু কমে এলেও এখনো দৈনিক মৃত্যুর বড় অংশই হচ্ছে ঢাকা বিভাগে।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জন মারা গেছেন। সিলেট বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে নতুন করে ৩ হাজার ৪৩৬ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৫ জন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯০১ জন।
Discussion about this post