হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রামে গত আগস্ট মাসে মোট করোনা সংক্রমণের ১৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। যা জুলাই মাসের তুলনায় ২১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কম। জুলাই মাসে চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের হার ছিল ৩৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত আগস্ট মাসে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৭৫ হাজার ৮৬০টি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮২ জন।
এছাড়া জুলাই মাসে মোট ৬৭ হাজার ৯১০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ হাজার ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া আগস্ট মাসে মৃত্যু হয়েছে ২৬৫ জনের, যা মোট মৃত্যুর ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগস্ট মাসে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১৫৩ জন উপজেলার এবং ১১২ জন মহানগর এলাকার বাসিন্দা। গত জুলাই মাসে ২৬১ জন মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এর মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ বেশি। কিন্তু সংক্রমণের হার গত জুলাইয়ের তুলনায় গত আগস্ট মাসে কিছুটা কম ছিল। সংক্রমণ কম হওয়া মানেই দেশ করোনামুক্ত হয়ে গেছে, বিষয়টি তেমন নয়। সংক্রমণ প্রতিরোধে একমাত্র করণীয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক ব্যবহার করা।
তিনি বলেন, বয়স্ক রোগীদের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেলে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। কারণ যে কোনও সময় অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামে আগের চেয়ে অনেক ভালো অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। আমরা এখন অধিক মানুষকে সেবা দিতে পারছি। আইসিইউ, এইচডিইউ সহ বিভিন্ন ব্যবস্থাও রয়েছে হাসপাতালগুলোতে।
সিভিল সার্জন বলেন, সাধারণ বেডে রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও আইসিইউতে রোগীর চাপ আগের মতোই রয়েছে। রোগীর অবস্থার অবনতির হওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে রোগীকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়। বিষয়টির দিকে সকলে নজর দেওয়া জরুরি। এছাড়া সবকিছুর ঊর্ধ্বে দরকার ব্যক্তি সচেতনতা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণের লাগাম টানা সম্ভব।
Discussion about this post