হার্টবিট ডেস্ক
দেশে তৈরি পোশাক শিল্প-কারখানার নারী শ্রমিকদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি জরুরিভাবে তাদের সচেতন করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
রবিবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয় থেকে অনলাইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ ও নেদারল্যান্ডের এসএনভি অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকারের (এসআরএইচআর) তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন’ এর দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘গার্মেন্টসে কর্মরত নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা অধিকার এবং পারসোনাল হাইজিন বিষয়ে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গার্মেন্টসে কর্মরত নারীদের জন্য সাভারে কর্মজীবী নারী হোস্টেল ও শিশুদের জন্য ১৬টি ডে-কেয়ার সেন্টার পরিচালনা করছে। গার্মেন্টস সেক্টরে কর্মরত নারী ও তাদের শিশুর স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির উন্নয়নে মাসে আট শত টাকা করে তিন বছর মেয়াদে কর্মজীবী ল্যাক্টেটিং মা ভাতা দেওয়া হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার অধিকার, নারীর অধিকার। একজন নারীর কখন বিয়ে হবে, কার সঙ্গে বিয়ে হবে, কখন সন্তান হবে, কতজন সন্তান হবে, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করা এবং নিরাপদ মাতৃত্ব এগুলো নারীর সাধারণ অধিকার’।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ‘অ্যাডভোকেসি ও বিসিসি কর্মসূচির মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সরকারের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি লিডার ও এনজিওদেরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে ৮ হাজার কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্লাবের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতন করে হচ্ছে’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান ও সেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রবিউল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড পলা শিনডেলার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।
Discussion about this post