হার্টবিট ডেস্ক
অবশেষে ভাতা পেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিপ্লোমা-এমফিল (নন-রেসিডেন্সি) কোর্সের চিকিৎসকরা। আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের কয়েকজনের হাতে চেক প্রদান করা হয়। পরে বাকিদের অ্যাকাউন্টে এ টাকা চলে যাবে।
এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় বিএসএমএমইউর ‘এ’ ব্লক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর বলেন, ‘বিএসএমএমইউর শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদেরকে এ বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। এ বৃত্তি শিক্ষাদেরকে ভালো চিকিৎসক হতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
এ বিশ্ববিদ্যালয় ভালো চিকিৎসক তৈরির কারিগর উল্লেখ করে তিনি বলেন,স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হলে প্রয়োজন গুণগত গবেষণা। তাই এ দিকে গুরুত্বারোপ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত আছেন বিএসএমএমইউর প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মোশাররফ হোসেন।
ভাতা চালু হওয়ায় নন-রেসিডেন্সি বিভিন্ন কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবে ভাতা সংক্রান্ত বিল পাস হওয়ার সময় অধ্যয়নরত সকল শিক্ষার্থী এর আওতাভুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও ১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা এ ভাতা পাচ্ছেন না। এতে তাঁরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মন্ত্রণালয়ে ১৯ সেশন থেকে তালিকা পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, ‘সরকার আমাকে কিছু শিক্ষার্থীর জন্য দিয়েছে কিছুর জন্য দেয়নি। যাদের কিছুই দেয়নি সেটা পরে দেবো, আর যা দিয়েছে, সেটা এখন দেওয়া হবে। আগের অর্থাৎ ১৯ সেশনের জন্য সরকার দেয়নি। ২০ সালের তালিকা ধরে দিয়েছে। বাকিটার অনুমোদন দেয়নি। এ কারণে তাদেরকে (১৯ সেশন) দেওয়া সম্ভব না।’
Discussion about this post