পদ্ধতি : মেরুদন্ড সোজা রেখে প্রথমে এক পা ওপরে তুলে আর এক পা ভাঁজ করে নিচে রেখে (১নং ছবির মতো করে) বসুন। প্রথমে ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে নাকের ডান পাশের ছিদ্র চেপে ধরুন। এমনভাবে ধরুন যেন বাতাস বেরিয়ে যেতে না পারে।
এবার বাম পাশের ছিদ্র দিয়ে দম নিয়ে অনামিকা দিয়ে বাম পাশের ছিদ্রটিও বন্ধ করে দিন। তারপর বাম ছিদ্র বন্ধ রেখেই ডান ছিদ্র থেকে বুড়ো আঙুল তুলে ডান ছিদ্র দিয়ে দম ছাড়ুন। বাম ছিদ্র বন্ধ রাখা অবস্থায়ই নাকের ডান ছিদ্র দিয়ে পুনরায় দম নিন। দম নেয়া হলে বুড়ো আঙুল দিয়ে ডান ছিদ্র বন্ধ করে পুনরায় বাম ছিদ্র দিয়ে দম ছাড়ুন।
এভাবে একবার বাম নাক বন্ধ রেখে ও ডান নাক দিয়ে ছাড়া আবার ডান নাক বন্ধ রেখে বাম নাক দিয়ে ছাড়া—এই মিলে একপ্রস্থ হবে। এভাবে ৬ থেকে ১০ প্রস্থ করতে পারেন। পদ্মাসনে বসেও নাসায়ন করতে পারেন।
নাসায়নের ফলে ফুসফুসে প্রচুর অক্সিজেন প্রবেশ করে। ধারণা করা হয়, নাসায়ন মস্তিষ্কের দুই বলয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। ফলে দেহ-মন মুহূর্তেই সজীব ও সতেজ হয়ে ওঠে। এর পাশাপাশি স্নায়ু ও পেশি শিথিল হতে শুরু করে। এ-ছাড়াও মাইগ্রেন নিরাময়ে নাসায়ন বেশ উপকারী।
লেখাটি ডা. মনিরুজ্জামান ও ডা. আতাউর রহমান এর লেখা এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই ‘হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক বই থেকে নেয়া।
Discussion about this post