হার্টবিট ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিপ্লোমা-এমফিল (নন-রেসিডেন্সি) কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকদের ভাতার ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর ফলে এখন থেকে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন নন-রেসিডেন্সি এসব কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘বিএসএমএমইউর নন-রেসিডেন্সি এমফিল, এমমেড, ডিপ্লোমা, এমপিএইচ ইত্যাদি কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হচ্ছেন না, তাদের মাসিক ২০ হাজার টাকা করে পারিতাষিক প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণারয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
এ অবস্থায় জুলাই ২০২০ সেশন থেকে নন-রেসিডেন্সি এমফিল, এমমেড, ডিপ্লোমা, এমপিএইচ কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পূবালী ব্যাংকের শাহবাগ শাখায় ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব খুলে পরিতোষিক গ্রহণের নির্ধারিত ফরম যথাযথভাবে পূরণ ও প্রত্যয়ন করে বকেয়া বিলসমূহ ও প্রতিমাসের পারিতোষিক বিল পরবর্তী মাসের পাঁচ তারিখের মধ্যে পরিচালকের (অর্থ ও হিসাব) দপ্তরে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট ডিপ্লোমা-এমফিল (নন-রেসিডেন্সি) কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকদের ভাতা খুব তাড়াতাড়িই প্রদান করা হবে জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
প্রসঙ্গত, রেসিডেন্সি ও এফসিপিএস কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা থাকলেও ডিপ্লোমা কোর্সে ভাতার ব্যবস্থা ছিল না। এতে নন-রেসিডেন্সি এসব কোর্সে অধ্যয়নরতদের মানবেতর জীবন-যাপন করতে হতো, শিক্ষাকাল ছিল চরম ভোগান্তি ও উদ্বেগের।
এ অবস্থায় স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্টদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে নন-রেসিডেন্সি কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকদের ভাতা প্রদান সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। ঐতিহাসিক এ সিদ্ধান্তের ফলে ৯ শতাধিক চিকিৎসক ভাতার আওতায় আসেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি মাসে তাদের ২০ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা। তবে ১০ মাসেও এ ভাতা চালু না হওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়।
Discussion about this post