হার্টবিট ডেস্ক
বিবিধ অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর ৭টি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিক শাখার মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মাহমুদউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার, মোহাম্মদপুর, ঢাকা তে অবস্থিত ৬ টি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ১টি ব্লাড ব্যাংকসহ মোট সাতটি প্রতিষ্ঠানে গত ২৮ জুলাই আকস্মিক পরিদর্শনে নানাবিধ অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। প্রাপ্ত অনিয়মের ভিত্তিতে মহাপরিচালক মহোদয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সাত টি প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল হবে না মর্মে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করা হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
১. প্রাইম অর্থোপেডিক ও জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
২. ঢাকা হেলথকেয়ার হসপিটাল।
৩. রিমেডি কেয়ার লিমিটেড।
৪. লাইফ কেয়ার জেনারেল হসপিটাল।
৫. যমুনা জেনারেল হসপিটাল।
৬. রয়াল মাল্টিকেয়ার স্পেশালটি হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
৭. রাজধানী ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার।
বন্ধের কারণসমূহ ও নানা অভিযোগ:
প্রাইম অর্থোপেডিক ও জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার-
১. বিএমডিসি সনদ প্রাপ্ত কোনো চিকিৎসক কর্মরত পাওয়া যায় নাই।
২. পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স কর্মরত পাওয়া যায় নাই।
৩. ল্যাব টেকনোলজিস্ট পাওয়া যায় নাই।
৪. রোগীদের নিকট থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে অধিক মূল্য রাখার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
ঢাকা হেলথকেয়ার হসপিটাল
১. পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স কর্মরত পাওয়া যায়নি।
২. প্রয়োজন ছাড়া শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থে আইসিউতে রোগী রেখে অনৈতিক প্র্যাকটিসের প্রমাণ পাওয়া যায়।
৪. রোগীদের নিকট থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে অধিক মূল্য রাখার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
রিমেডি কেয়ার লিমিটেড-
১. হালনাগাদ লাইসেন্স ছাড়াই ক্লিনিকটি অবৈধ ভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
২. আইসিইউ সর্বস্ব হাসপাতাল বানিয়ে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে দালালের সহায়তায় হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে।
৩. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (আইপিসি) খুবই অসন্তোষজনক।
লাইফ কেয়ার জেনারেল হসপিটাল-
১. পরিদর্শনকালে হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ও নার্স কর্মরত পাওয়া যায়নি।
২. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (আইপিসি) খুবই অসন্তোষজনক।
যমুনা জেনারেল হসপিটাল-
১. একই আইসিইউতে একইসঙ্গে কোভিড এবং নন কোভিড রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে।
২. সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে অধিক মূল্যে অক্সিজেন বিল করা হচ্ছে।
৩. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (আইপিসি) খুবই অসন্তোষজনক।
রয়াল মাল্টিকেয়ার স্পেশালটি হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার-
১. পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স কর্মরত পাওয়া যায় নাই।
২. বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে অধিক মূল্য রাখা হচ্ছে।
৩. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (আইপিসি) খুবই অসন্তোষজনক।
রাজধানী ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার-
১. বিএমডিসি সনদ প্রাপ্ত কোনো এমবিবিএস চিকিৎসক কর্মরত পাওয়া যায়নি।
২. নার্স, ব্লাড কালেকশন টেকনোলজিস্ট এবং ল্যাব এটেন্ডেন্ট পাওয়া যায় নাই।
Discussion about this post