হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রামে আরও একজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে৷ চল্লিশোর্ধ্ব ওই পুরুষ রোগীর চোখে এ ছত্রাক বাসা বাঁধে বলে জানা গেছে। এদিকে দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আগেও ছিল জানিয়ে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ছয় আগস্ট থেকে এ রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী এ রোগী করোনার দুই ডোজ টিকাও দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল জানান, চোখ ও দাঁতের ব্যথা নিয়ে ভুগতে থাকা ওই ব্যক্তির ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ ধরা পড়ে। পরে ৫ আগস্ট পরীক্ষার রিপোর্টে তা শনাক্ত হয়। তিনি ৬ আগস্ট থেকে মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আগেও ছিল জানিয়ে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত আমাদের পরিবেশে মাটিতে, খাবারে—সবখানেই ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস উৎপাদন হতে পারে। আশার কথা হলো, বাংলাদেশে শনাক্তের পরিমাণ মোটেও আতঙ্কিত হওয়ার মতো নয়। এটা ব্যাপক আকারে ছড়িয়েও পড়েনি।
চট্টগ্রামে এর আগে গত জুলাই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগী শনাক্ত হয়৷ করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হবার পর ষাটোর্ধ্ব ওই নারীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
গত ২৫ জুন থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব গৃহিণী ফেরদৌস বেগম। পরে ৩ জুলাই তিনি কোভিড টেস্টে পজেটিভ হন। ১৫ জুলাই কোভিড নেগেটিভ হলেও তার নানা শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। পরে স্বজনরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
Discussion about this post