হার্টবিট ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে আজ। আগামী ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে গণটিকা কর্মসূচি। এই টিকাদান কর্মসূচির সঙ্গে যোগ দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। ঢাকায় ৯টি ও সারাদেশে তিন হাজার ২১৪টি টিকা কেন্দ্রে সহায়তা দেবেন ব্র্যাকের কর্মীরা।
আজ শনিবার (৭ আগস্ট) ব্র্যাকের কমিউনিকেশনস বিভাগের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড এক্সটারনাল রিলেশনস্ রাফে সাদনান আদেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের মিডওয়াইফদের সহায়তায় ৭ আগস্ট থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯টি টিকাদান কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা করছে ব্র্যাক। এছাড়াও, সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে তিন হাজার ২১৪টি টিকাদান কেন্দ্রে সহায়তা প্রদান করছেন ব্র্যাকের কর্মীরা।
সরকারের করোনা টিকাদান কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে সহায়তার অংশ হিসেবে আজ থেকে এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে সংস্থাটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক জানায়, ২৫ বছর ও তার বেশি বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী ব্যক্তিদের প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলো থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত এই সেবা চলমান থাকবে। তবে এই সেবা গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি অথবা সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারটি সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিকা কেন্দ্রগুলোতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে যারা পূর্বে রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণ সংক্রান্ত ম্যাসেজ পাননি তারা টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। ঢাকায় অবস্থিত ব্র্যাকের ৯টি কেন্দ্রের প্রতিটি কেন্দ্র দিনে ৩৫০টি করে করোনার টিকা প্রদানে সক্ষম।
এতে আরও বলা হয়েছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারী, পঞ্চাশোর্ধ বয়স্ক নারী-পুরুষ এবং শারীরিক/মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা করোনার টিকা পাবেন। কেন্দ্রগুলোতে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে এবং টিকা কার্ডে পরবর্তী ডোজ টিকা দেওয়ার তারিখ লিখে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির পরিচালক মোর্শেদা চৌধুরী বলেন, “বৈশ্বিক মহামারির শুরু থেকেই করোনা প্রতিরোধে কাজ করছে ব্র্যাক। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের নেওয়া টিকাদান কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে কাজ শুরু করছি আমরা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সর্বত্র সুশৃঙ্খলভাবে টিকাদান প্রক্রিয়া পরিচালনাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি, সবার সম্মিলিত চেষ্টাই পারে করোনাকে রুখে দিতে।”
Discussion about this post