হার্টবিট ডেস্ক
মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ আগস্ট থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে গণটিকা প্রয়োগ কার্যক্রম। এর আগে ৭ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন করা হবে। এসব কার্যক্রমে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন ও গ্রাম পর্যায়ে টিকা কর্মসূচি চলাকালে টিকাকেন্দ্রে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ভিড় পরিহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আনসার, গ্রাম পুলিশ ও পুলিশের সহায়তায় কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়ােজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে ক্যাম্পেইনের আয়ােজন ও পরিচালনা করতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে আগত সবার সঠিক পদ্ধতিতে মাস্ক পরিধান, শারীরিক দূরত্ব (৩ ফুট) বজায় রাখা, হাঁচি ও কাশির শিষ্টাচার যথাযথ প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনের জন্য কেন্দ্র
ক্যাম্পেইনে দেশের উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি ইউনিয়নের যেকোনো একটি ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে তিনটি বুথ, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে একটি বুথ ও সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ১-৩টি বুথের মাধ্যমে করোনার টিকা দেওয়া হবে।
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার (পৌরসভা), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলােচনার মাধ্যমে সমন্বয় করে ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রের স্থান ঠিক করতে হবে।
দেশে আগে থেকে চলমান সব করোনা ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রগুলোতে যে নিয়মে টিকাদান সেশন চলছে তা অব্যাহত থাকবে।
অপেক্ষমাণ বয়স্ক টিকা গ্রহণকারীদের বসার ব্যবস্থা করতে হবে। টিকা গ্রহণ শেষে প্রত্যেককে নির্দিষ্ট অপেক্ষমাণ স্থানে কমপক্ষে ৩০ মিনিট অবস্থান করা নিশ্চিত করবেন।
নারীদের জন্য আলাদা পর্দা ঘেরা স্থানে টিকাদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র যেভাবে পরিচালিত হবে
উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নের সাবেক যেকোনো একটি ওয়ার্ডে করোনা টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রতি ইউনিয়নে সপ্তাহে নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র ঠিক রেখে নির্ধারিত একটি ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদ ও নিকটবর্তী স্কুলে তিনটি টিম টিকাদান করবেন।
পৌরসভা পর্যায়ে প্রতি ওয়ার্ডে নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র ঠিক রেখে একটি টিমের (দুইজন ভ্যাকসিনেটর এবং তিনজন স্বেচ্ছাসেবী) মাধ্যমে ওই কেন্দ্রে করোনা টিকাদান সেশন চলবে।
পৌরসভা সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে একইভাবে ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করবেন।
সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ১-৩টি বুথের মাধ্যমে করোনা টিকাদান করা হবে।
Discussion about this post