হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটছেন কোভিড আক্রান্ত ও তাদের স্বজনরা। কিন্তু হাসপাতালগুলোতে শয্যা খালি পাওয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক থেকে দেড় সপ্তাহ ধরে কোভিড আক্রান্ত রোগী অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলো আর সেই চাপ সামলাতে পারছে না। একটি শয্যা খালি হলে ৮-১০ জন রোগীর স্বজন ভিড় করছেন। আইসিইউতে এই চাপ আরও বেশি।
স্বজনদের বাঁচাতে দরি থেকে থেকে এসে হাসপাতালগুলোর দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও মিলছে না শয্যা। কারো মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আইসিইউ খালি হলেও সেটি পেতে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকছেন ৮-১০ জন রোগী।
প্রতিদিন প্রিয়জনকে বাঁচাতে রোগীদের নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরছেন স্বজনরা। আবার অনেক কষ্টে আইসিইউ মিললেও জীবন-মৃত্যুর অনিশ্চিয়তা মেনেই হাসপাতালের করিডোরে সংসার পেতেছেন অনেক রোগীর স্বজন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘রোগীর চাপ অস্বাভাবিক বেড়েছে। নরমাল সিটেও চাপ বেশি। আইসিইউতে যত রোগী ভর্তি আছেন, ওয়েটিংয়ে আছেন সমপরিমাণ। সরকারি হাসপাতালে এ মুহূর্তে আইসিইউ শয্যা খালি নেই। বেসরকারিতে কিছু আছে। তবে সেখানে তো সব রোগী যেতে পারেন না। আমরা হাই ফ্লো নজল ক্যানোলা, অক্সিজেন আর এইচডিইউ সুবিধা রোগীদের যতটুকু পারছি দিচ্ছি। আইসিইউতে সিট খালি হলে রোগীর অবস্থা বুঝে যার অবস্থা বেশি খারাপ তাকে সেখানে পাঠাচ্ছি।’
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডিসহ কোনো সরকারি হাসপাতালে কোভিড ইউনিটে সাধারণ শয্যা এবং আইসিইউ শয্যা খালি নেই। জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল করা হয়েছে। হলি ক্রিসেন্টসহ কয়েকটি হাসপাতালে কিছু শয্যা ফাঁকা আছে। কিন্তু সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানোলা এবং আইসিইউ সুবিধা না থাকায় রোগী ভর্তির পরিমাণ এমনিতেই কম বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রামে গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই ৮০০-৯০০ জন করে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। রেকর্ড পরিমাণ মৃত্যু হয়েছে গত দুই সপ্তাহে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেছেন ৯৭৩ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার মানুষ।
Discussion about this post