হার্টবিট ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উদ্ভাবিত অক্সিজেটের সীমিত আকারে উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌফিক হাসান বলেন, তিন ধাপে পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর আমাদের প্রাথমিকভাবে ২০০ ইউনিট উৎপাদন করার অনুমোদন দিয়েছে।বুয়েটের নির্ধারিত ল্যাবরেটরই এটি তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, এ জন্য বেশকিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। সেসব শর্ত মেনে সকল ডিভাইস তৈরি করতে হবে। হাসপাতালে এসব ডিভাইস ব্যবহারে কী ফলাফল আসে তা তিন মাস পর আমাদের রিপোর্ট জামা দিতে হবে। রিপোর্ট ভালো হলে চাইলে এরপর আরও বেশি উৎপাদনের অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই শিক্ষক বলেন, হাসপাতালে বিভিন্ন ট্রায়ালে অক্সিজেট সফলভাবে কাজ করলেও এখনও এটির মার্কেট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এটি উৎপাদনে তেমন কেউ এগিয়ে আসছেন না। সকলের অক্সিজেট প্রয়োজন হবে না। প্রতি হাসপাতালে যদি ১০টি করে এই ডিভাইস বসানো হয় তবে সারাদেশে পাঁচ থেকে ছয় হাজার বসালে আর হয়তো আমাদের প্রয়োজন হবে না। সে জন্য তেমনভাবে কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, সমাজসেবা হিসেবে আমরা কাউকে কাউকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছি। ঔষধ প্রশাসনে অনুমোদনে জটিলতা থাকায় তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এগুলো আগামী দুই মাসের মধ্যে তৈরি করে বিভিন্ন হাসপাতালে স্থাপন করা হবে।আমরা চাই অক্সিজেনের উচ্চমূল্য যেন চিকিৎসার অন্তরায় না হয়। অক্সিজেটের মাধ্যমে অত্যন্ত স্বল্পখরচে উচ্চচাপের অক্সিজেন উৎপাদন করা যাবে।
Discussion about this post