গরুর মাংস খেয়ে বদহজম, পেটে ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয়ঃ
- মাংস খেয়ে বদহজম হলে, ২ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়া দিয়ে জ্বাল দিন। পানি কমে অর্ধেক হলে নামিয়ে রাখুন। এরপর এ পানিতে কিছু মধু মিশিয়ে গরম গরম দিনে দুবার পান করুন।
- বদহজমের জন্য ১ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।
- ২ কাপ পানিতে একটুকরা আদা কুচিয়ে জ্বাল দিয়ে ১ কাপ পরিমাণ করে এতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। বদহজমের জন্য এটি ভালো কাজ করে।
- বদহজমের জন্য কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাবেন।
- কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। পেট ফাঁপা কমে যাবে।
- মাংস খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খান। পেটে গ্যাস জমবে না।
- পেট ফাঁপার সাথে পেটে ব্যথা হলে, কুসুম গরম পানিতে আধা কাপ লেবুর রস মিশিয়ে খান। ব্যথা কমে যাবে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, রাতে ঘুমানর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ১ গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। (বিঃ দ্রঃ- ইসবগুল পানিতে ভিজিয়ে রাখলে উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। )
- কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য এলভেরা পাতা থেকে জেল বের করে ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। উপকার পাবেন।
সতর্কতাঃ
- রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে তার মাংস খেলে মাংসে থকা জীবাণু দেহে বিষ উৎপন্ন করে। যা নানা ধরনের রোগের সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
- মাংস অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হলে মাংস থেকে ফিতা কৃমির সৃষ্টি হয় যা থেকে পেট ব্যথা, মাথা ধরা, খিঁচুনীত, পেট খারাপ ও জ্বর হতে পারে।
- বেশি তাপে মাংস রান্না করলে মাংসে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবন নষ্ট হয়ে যায়। তাই ৮০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে রান্না করা উচিত।
- মাংস ভালোভাবে রান্না করা উচিত। রান্না করা মাংস বারবার জ্বাল দিয়ে বেশিদিন ধরে খাওয়া ঠিক নয়।
- ২৫ এর বেশি বয়সী যাদের রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ২০০-এর বেশি, তাদের রেড মিট বা লাল মাংস না খোয়া উত্তম।
- যাঁদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাঁদের অবশ্যই গরুর মাংস এড়িয়ে যেতে হবে। তাছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে যাঁরা অতিরিক্ত গরুর মাংস খান, তাঁদের ক্যানসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
Discussion about this post