হার্টবিট ডেস্ক
দেশে এরমধ্যে ৪০২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (২১ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে দেশে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়। বর্ষাকালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কখনও কখনও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ২০ জুলাই পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৫৯ জন এবং এর বাইরে মোট ৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলে এ পর্যন্ত ৪০২ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩শ ৯৪ জন। এর মধ্যে আইইডিসিআরে ডেঙ্গু সন্দেহে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য এসেছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয় উল্লেখ করে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু করণীয় রয়েছে। বাসাবাড়িতে রাখা ফুলের টব বা অন্যান্য স্থানে জমে থাকা পানি তিনদিনের মধ্যে ফেলে দিতে হবে। যারা বাসা ছেড়ে তিনদিনের বেশি সময়ের জন্য বাইরে যাচ্ছেন, কমোডের প্যান ঢেকে রাখতে হবে, পানির যেকোনো পাত্র পানিশূন্য করে উল্টিয়ে রাখতে হবে। দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা উত্তম। মশার কামড় থেকে বাঁচতে হলে ছোট-বড় সবার শরীর ঢেকে রাখা যায় এমন কাপড় পরিধান করা উচিত। আমরা করোনা মহামারির মধ্যে রয়েছি। এই সময় জ্বর হওয়া মানেই যে সেটি করোনা হয়েছে বিষয়টি তা নয়। ডেঙ্গুর সন্দেহের বিষয়টিও ভাবতে হবে। পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে।
Discussion about this post