আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করবে। গতবারের মতো এবারও করোনার কারণে ভিন্ন আবহে পালিত হবে ঈদ। করোনার কারণে নানা বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে। অনেকেই যাননি গ্রামে। আবার অনেকেই করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে শহর ছেড়ে ছুটেছেন গ্রামে।
আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও আকুন্ঠ আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ঈদের নামাজের পর আল্লাহর অনুগ্রহ পাওয়ার আশায় মুসলমানরা পশু কোরবানি করেন।
করোনার কারণে এবারও জাতীয় ঈদগাহসহ দেশের অনেক ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। ঈদের আনন্দের দিনে খোলা থাকবে না বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আসুন কোরবানির ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।’
করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে সব আনন্দ-উৎসব এখন ফিকে। বিশেষ দিনগুলোও বিশেষ হয়ে উঠছে না। কিন্তু সময়ের ঘড়ি তো আর থামানো যায় না। ঠিকই বয়ে চলে। বর্ষপঞ্জির পাতাও উল্টাতে হয়। সেভাবেই সময়ের আবর্তনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সামনে আবারও এসেছে ঈদ।
মহামারির দুঃখ-কষ্ট-ক্লেশ, স্বজন হারানোর বেদনাকে এক পাশে সরিয়ে রেখে মানুষ কিছুটা হলেও উদ্দীপনা নিয়ে ঝুঁকছে উৎসবের দিকে। তবে গত তিনটি ঈদের মতো এবারের ঈদেও নেই নিরঙ্কুশ আনন্দঘন পরিবেশ। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে গিয়ে ধর্মীয় আচার পালনেও ঘটছে বিঘ্ন। তবু সব প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করেই বুধবার সারাদেশের মুসলমানরা উদযাপন করতে যাচ্ছেন পবিত্র ঈদুল আজহা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বাণী দিয়েছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো ঈদ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে। ঈদের দিন সরকারিভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নত ও বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।
Discussion about this post