হার্টবিট ডেস্ক
বাংলাদেশের কারখানাতেই বোতলজাত হবে চীনের তৈরি করোনা টিকা। একই প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার টিকাও বাংলাদেশেই প্রস্তুত হবার কথা থাকলেও সেটি এখনও নিশ্চিত হয়নি।
তবে, আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশকে সবাই সহযোগিতা করতে চাইছে।
উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে অনুষ্ঠিত ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া: আঞ্চলিক সংযোগ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সোমবার (১৯ জুলাই) নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি।
এসব বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু ছাড়াও দেশের করোনা মহামারি ও টিকাদান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
অনেক দিন ধরেই চীন ও রাশিয়ার টিকা বাংলাদেশেই উৎপাদনের কথা চলছিলো। মন্ত্রী জানান, চীনের দুটি টিকা বাংলাদেশের কোন কারখানায় বোতলজাত করার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।
রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকাও একইভাবে বাংলাদেশে প্রস্তুত হবে কিনা সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাবার কথা আছে। কিন্তু ভারত থেকে চুক্তির টিকা আদৌ মিলবে কিনা এ বিষয়ে মন্ত্রী জানান, দেশটির করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে টিকা মিলবে বলে আশ্বাস পাওয়া গেছে। তবে দেশে টিকা সংরক্ষণের সুবিধা সীমিত।
এখন পর্যন্ত উপহার আর কেনা মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। যা দিয়ে চলছে গণটিকা কার্যক্রম।
Discussion about this post