সামিয়া তাসনিম, পুষ্টিবিদ
সামনেই ঈদ। যারা বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে ভুগছেন বা করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভুগেছেন, ঈদে তাদের খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। আবার যারা সুস্থ আছেন তাদের এই সুস্থতা বজায় রাখতে কিভাবে চলা উচিৎ তাও অনেকের চিন্তার ব্যাপার।
যাদের কিডনির সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা, বা ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা আছে, কোরবানির ঈদ এলে তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়।
কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে, সমস্যা কোন পর্যায়ে আছে তারও পর নির্ভর করে তারা কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন।
যাদের ইউরিক এসিড বা ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা এক থেকে ২ পয়েন্টের মধ্যেআছে তারা শরীরের ওজন অনুযায়ী খাবারের মাধ্যমে মাঝারি মাত্রায় প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন।
কিছু কিছু খাদ্য উপাদান গ্রহণের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সাবধানতা দিয়ে থাকেন। যেমন, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং সোডিয়াম কম মাত্রায় গ্রহণ করতে বলা হয়। মাছ, মাংস বা দুধ জাতীয় খাবারে এসব উপাদানের পরিমান বেশি থাকে।
এক্ষেত্রে দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। সে সাথে পরিমিত পরিমানে মাছ মাংস খেতে হবে। মাংস সেদ্ধ করে, পানি ফেলে দিয়ে তার পর রান্না করলে সবচেয়ে ভালো হয়। সাথে শশা বা আপেলের সালাদ করে দিলে খেতে আরও সুস্বাদু হবে।
অনেক সময় বাসায় কিমা বা কাবাব তৈরি করতে ডাল ব্যবহার করা হয়। অসুস্থ ব্যক্তিদের খাবারে ডালের ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের অবশ্যই মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে, ঈদের দিন সকাল শুরুই হয় মিষ্টি খেয়ে।
ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টির সাথে ভাত, রুটি বা ব্রেড খাওয়া যাবেনা। মিষ্টির মধ্যে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকায় অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই।
যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের আপেল এবং নাশপাতি ছাড়া অন্য সব ফল কম মাত্রায় খেতে হবে। সেই সাথে ডাল জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
সবশেষে, ঈদে আনন্দ করুন ঠিকই তবে খাবারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সব খাবার পরিমিত পরিমানে খেতে হবে এবং মাংসের পাশাপাশি অবশ্যই সালাদ বা সবজি খেতে হবে। তাহলে ঈদের পরে শরীরের রোগগুলো সীমার মধ্যে থাকবে।
Discussion about this post