হার্টবিট ডেস্ক
গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যু কেন্দ্র করে হামলা, মারধর ও ভাঙচুুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীর মৃত্যুর পর স্বজন ও বহিরাগতরা চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যদের ওপর হামলা করে। তবে পাল্টা অভিযোগও পাওয়া গেছে। স্বজনরা জানায়, প্রতিবাদ করলে কর্তৃপক্ষের লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা সদরের পশ্চিম বাটিকামারী গ্রামের আলতাফ হোসেনের স্ত্রী জাহেদা বেগমকে (৫৫) মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা।
কিন্তুু দুপুরে যথারীতি হাসপাতালের ল্যাব বন্ধ থাকায় তাদের বাইরে রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রক্ত পরীক্ষা করার পর বিকেলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনদের দাবি, রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসলে তিনি রক্ত স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে রক্ত সংগ্রহের কথা বলেন। তারা রক্ত ক্রসম্যাচ করে এনে জানতে পারেন জাহেদা মারা গেছেন। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি না করায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজন পাল জানান, রোগীর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকায় তার অবস্থা আগে থেকেই সংকটাপন্ন ছিল। সেই সময় ল্যাব বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে রক্ত পরীক্ষার জন্য বলা হয়।
তিনি আরও জানান, তারা ফেরার পর রোগীর মৃত্যুর কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে জরুরি বিভাগে হামলা চালিয়ে দুই চিকিৎসক, শিক্ষানবিস নার্স এবং অন্য কর্মীদের বেধড়ক মারপিট করেন। তারা জিনিসপত্রও ভাঙচুর করেন।
এদিকে প্রায় তিন ঘণ্টা চিকিৎসা বন্ধ করে চিকিৎসকরা হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেন। তারা করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবাদানকারী চিকিৎসকদের এই লাঞ্ছনা ও মারপিটের বিচার দাবি করেন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. তাহেরা আক্তার মনি বলেন, সাধারণ মানুষের যাতে কোনো কষ্ট না হয় সেজন্য জরুরি বিভাগ চালু রাখা হয়েছে। আগামীকাল সকালে চিকিৎসকরা সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপারেশন রজ্জব আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্র্তীতে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সুত্র- ঢাকা পোস্ট
Discussion about this post