হার্টবিট ডেস্ক
দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে ।
বুধবার ( ১৪ জুলাই) করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর একটি মূল জায়গা হলো টেস্ট। আমরা টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
গত ১২ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহীত হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৫টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৭টি। আর তাতে করে মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হন ১৩ হাজার ৭৬৮ জন। গত ১১ জুলাই অধিদফতর জানায়, করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৯ হাজার ৮৬০টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০ হাজার ১৫টি।
দেশে গত মার্চে যখন করোনা মহামারি শুরু হয় তখন সরকারের একটি মাত্র ল্যাব রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ( আইইডিসিআর) করোনার নমুনা পরীক্ষা হত।
শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, টেস্ট, টেস্ট অ্যান্ড টেস্ট। সেই সঙ্গে ‘যত বেশি পরীক্ষা তত বেশি রোগী শনাক্ত’হবার কথা দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে আসছিলেন। পরে ধীরে ধীরে সরকারি পরীক্ষাগার বাড়ানো হয়। এসময় বেসরকারি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করার অনুমতি দেয় সরকার।
সেই সঙ্গে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার দাবিও তোলা হয় জনস্বাস্থ্যবিদদের পক্ষ থেকে। অবশেষে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর দেশে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেয় সরকার। সেদিন যশোর জেলা সদর হাসপাতালে শুরু হয়ে ১০টি জেলায় প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়।
দেশে বর্তমানে ৬২৭টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১৩০টি পরীক্ষাগারে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে, ৫০টি জিন এক্সপার্ট পরীক্ষার মাধ্যমে আর ৪৪৭ টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
Discussion about this post