হার্টবিট ডেস্ক
করোনা সংক্রমণ সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে দুই হাজার সহকারী সার্জন (চিকিৎসক) নিয়োগের অংশ হিসেবে গত বছরে নভেম্বরে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেন প্রায় ৩১ হাজার চিকিৎসক। প্রায় এক মাস পর ২৯ মার্চ প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ২২ জন।
এদিকে গত মার্চ থেকে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সম্প্রতি দেশে অতিসংক্রমণশীল ভারতীয় ডেল্টা ভারিয়েন্ট ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় জেলা ও উপজেলাগুলোতে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল শনিবার (১০ জুলাই) নতুন করে আরও চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় ব্যাপক সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়াটি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আর দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করতে চাইলে ৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ঘোষিত চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে একই বিসিএস থেকে বারবার নিয়োগ দেওয়ার চিন্তাকে ‘বৈষম্যপূর্ণ’ বলে আখ্যা দেন তরুণ চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত ৪২তম বিশেষ বিসিএস থেকে নিয়োগ সম্পন্ন করার দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য ৪২তম বিশেষ বিসিএস এর ভাইভা পরীক্ষা অসম্পন্ন রয়েছে।
৪২তম বিসিএসে উত্তীর্ণ একজন তরুণ চিকিৎসক বলেন, ‘ পিএসসি চাইলে ৪২তম বিসিএসের ভাইভা অনলাইনেও নিতে পারে। অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে বিদেশে অনেক কোর্সের সনদ প্রদান করা হয়ে থাকে। সব কিছুই এখন অনলাইনে করা হচ্ছে। যদি অনলাইনে ভাইভার আয়োজন করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় জেলা প্রশাসক বা সিভিল সার্জন অফিসে ভাইভা দিতে পারেন। এটা খুবই সহজসাধ্য বিষয়। এমনকি কর্তৃপক্ষ চাইলে প্রিলির ফলাফলের ভিত্তিতে ছয় হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিতে পারেন।’
৩৯তম বিসিএস থেকে নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগের চিন্তাকে অযৌক্তিক ও বৈষম্যপূর্ণ আখ্যা দিয়ে অপর একজন চিকিৎসক বলেন, ‘২০১৮ সালে একটি বিসিএস হয়েছে। সেখান থেকে প্রথমে সাড়ে চার হাজার, পরে আবার দুই হাজার মিলিয়ে সাড়ে ছয় হাজার নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে যাদের ডাকা হয়নি, তাদের অনেকে ৪২তম বিসিএসেও চান্স পেয়ে গেছেন। এতো আগে নেওয়া বিসিএস থেকে নিয়োগের চিন্তা করা জুনিয়র চিকিৎসকদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার নামান্তর। কারণ তারাও সরকারি চাকরি করতে প্রবল আগ্রহী। সুতরাং তাদেরকে সুযোগটা দিতে হবে।
Discussion about this post