হার্টবিট ডেস্ক
করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ রোধে কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও জাতীয় পরামর্শক কমিটি। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সমন্বয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের মুখপাত্র রোবেদ আমিন। তিনি জানান,তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সারা দেশের হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ও অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
করোনায় এক দিনে দুই শতাধিক মৃত্যুর রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৪ জনের।
গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়। বুধবার (৭ জুলাই) মৃত্যু হয় ২০১ জনের। তার আগে সোমবার ১৬৪ ও মঙ্গলবার ১৬৩ জন মারা যান। এছাড়া জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে প্রতিদিন ১৩০ জনের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন।
সামনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে মনে করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় বৈঠকে। সেখানে সার্বিক সংক্রমণ পরিস্থিতি ও হাসপাতালগুলোর অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন সব হাসপাতালের পরিচালক।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র রোবেদ আমীন বলেন, প্রতিদিন ১১ হাজার শনাক্ত হচ্ছে এখন। এরপর যদি দ্বিগুণ ও তিনগুণ হয় সেক্ষেত্রে কী হবে? সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিন ৫০ হাজার বা এক লাখ হবার আগে, সিলিং পয়েন্ট ছোঁয়ার আগেই এটা কমাতে হবে।
বিধিনিষেধের পরও সংক্রমণের ভয়াবহ উর্ধ্বগতি কমাতে ১৪৪ ধারা, কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রোবেদ আমীন আরও জানান, কারফিউ সবারই প্রস্তাব। টেকনিক্যাল কমিটি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রস্তাবও এটা। কঠোরতম অবস্থায় চলে যেতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ হয়তো কারফিউ ও ১৪৪ ধারা ভালো বোঝে। যদি প্রয়োজন হয় তো সেসবের ব্যবস্থা করা দরকার হতে পারে বাংলাদেশে। সেসব সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয় ও যারা দায়িত্বে আছে। তবে আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখন যে ভয়াবহ অবস্থায় আছে সেখান থেকে সংক্রমণ কমানোর জন্য মানুষের মেলামেশা ও চলাফেরা বন্ধ করতেই হবে।
Discussion about this post