হার্টবিট ডেস্ক
করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে কুষ্টিয়ায়। লকডাউনেও এখানে থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। রোববার (০৪ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে সোমবার (০৫ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১৪ জন করোনায় এবং তিনজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এদিকে ৮৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (৫ জুলাই) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার। তিনি বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৭৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮২৩ জন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২৯২ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ১৫৩ জন, দৌলতপুরের ৪৪ জন, কুমারখালীর ২৪ জন, ভেড়ামারার ৩৪ জন, মিরপুরের ২৯ জন এবং খোকসার ৮ জন রয়েছেন।
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৯৮ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৫৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ৪৩৯ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশি করা হচ্ছে। সবার কাছ থেকে লকডাউন কার্যকর করতে সহযোগিতা পাচ্ছি।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। সব উপজেলায় হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। লকডাউনের মধ্যেও কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাস্তাঘাটে চলাচল করছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। ফলে লকডাউনের সুফল মিলবে না। জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার প্রবণতার কারণে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। করোনার সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন হবে।
Discussion about this post