হার্টবিট ডেস্ক
সুরক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও সঠিক মোবাইল নাম্বার যাচাইপূর্বক অনলাইনে করোনা টিকা গ্রহণের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
অনলাইনে নিবন্ধন পরবর্তী তথ্য যাচাইপূর্বক পর্যায়ক্রমে টিকা প্রদানের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম উল্লেখপূর্বক মোবাইলে এসএমএস পাবেন।
মোবাইলে এসএমএস প্রাপ্তি সাপেক্ষে টিকাকার্ড জাতীয় পরিচয়পত্র ও সম্মতিপত্রসহ নির্দিষ্ট তারিখে টিকাদান কেন্দ্রে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করবেন।
আজ আপনাকে জানাবো অনলাইনে যেভাবে করোনা টিকা নিবন্ধন করবেন –
প্রথমে সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মেনু থেকে ‘নিবন্ধন’ বাটনে ক্লিক করে ‘ক্যাটাগরি’ সিলেক্ট করুন। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিতে হবে। মনে রাখবেন, জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করা যাবে না।
এই তথ্যগুলো দেওয়ার পর বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় নাম দেখানো হবে। এরপর আপনার ফোন নাম্বার দিতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী কোন রোগ থাকলে সেটি বলতে হবে।
যিনি টিকা নিচ্ছেন তার পেশা এবং করোনা সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে যুক্ত কি না সেটি জানাতে হবে। সবশেষে আপনার ঠিকানা এবং যে কেন্দ্রে টিকা নিতে চান সে বিষয়ে জানাতে হবে।
নিবন্ধনের পর কী করবেন?
টিকার নিবন্ধন শেষ হয়ে গেলে আপনাকে টিকা কার্ড নিতে হবে। ওয়েবসাইটেই এই কার্ড পাওয়া যাবে। ‘টিকা কার্ড’ বাটনে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার, জন্ম তারিখ দিয়ে ‘যাচাই করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নিবন্ধনের সময় দেওয়া ওটিপি কোড দিয়ে ‘টিকা কার্ড ডাউনলোড’ বাটনে ক্লিক করলেই টিকা কার্ড পেয়ে যাবেন। এরপর সেটি প্রিন্ট করতে হবে এবং এই কার্ড দেখিয়েই নির্ধারিত দিন ও কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। ইচ্ছে করলে এর সফট কপি সংগ্রহ করে রাখবেন।
প্রবাসীদের নিবন্ধন হবে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে
প্রবাসী বাংলাদেশিদের করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে ‘আমি প্রবাসী’ নামের একটি অ্যাপ চালু রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, পাসপোর্ট নিয়ে হাসপাতালে আসলে হবে না। যারা বিএমএটিতে নিবন্ধন করেননি বা যারা পুরনো, তারা আগে নিবন্ধন করে ফেলেন। তাহলে সহজেই অ্যাপে টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। অ্যাপের মাধ্যমেই তখন হাসপাতাল আর সময় বলে দেয়া হবে।
Discussion about this post