হার্টবিট ডেস্ক
নতুন করে যে ৪৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে তা প্রথমেই পাবেন মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী, প্রবাসী শ্রমিক এবং আগে নিবন্ধনকারীরা। অন্তত ৫৫ বছরের ওপরের নাগরিকদের এ টিকার আওতায় আনা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার (০৩ জুলাই) ফের দেশে এসেছে ৪৫ লাখ নতুন টিকা। যুক্তরাষ্ট্রের উপহার মডার্নার টিকা চীন থেকে কেনা হয়েছে সিনোফার্মের টিকা।
তবে কবে থেকে গণনিবন্ধন বা টিকা প্রয়োগ শুরু কবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে এ পর্যন্ত টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন প্রায় ৭৩ লাখ মানুষ। এর মধ্যে দুই ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৪৩ লাখ আর এক ডোজ পেয়েছেন ৫৮ লাখ লোক। সে হিসেবে রেজিস্ট্রেশসন করা প্রায় ১৪ লাখ মানুষ এক ডোজ টিকাও পাননি। তারা বলছে, নতুন টিকা দেওয়া হবে তাদের। এ ছাড়া মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সব বয়সী প্রবাসী শ্রমিকরাও এই টিকার আওতায় আসবেন। তবে যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক ডোজ নিয়েছেন তাদের অপেক্ষা করতে হবে ওই টিকা আসা পর্যন্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এটি নিয়ে কাজ হচ্ছে ও খুব সহসা শুরু হবে। চল্লিশোর্ধ্ব মানুষ যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু একটি ডোজও টিকাও পাননি, প্রবাসী শ্রমিক, মেডিকেল শিক্ষার্থী যারা আছেন, নার্সিং শিক্ষার্থী আছেন, আইএসটি ম্যাটস শিক্ষার্থীরা যারা আছেন তারা পাবেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী যারা হলে অবস্থান করেন তারাও এই টিকা পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাদের নামের তালিকা পাঠিয়েছে তারাও টিকা পাবেন। তার বাইরেও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে, নতুন করে যারা অপেক্ষমাণ আছেন তারাও সেখান থেকে টিকা পাবেন। আমরা আশা করছি যে, আমাদের টিকার চালান আসাটা অব্যাহত থাকবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর রহমান বলেন, এখন প্রথম দিকে যে টিকা দেওয়া হবে সেটা মৃত্যুহার কমিয়ে আনার জন্য দিতে হবে। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যারা পঞ্চাশোর্ধ্ব আছেন, শতকরা ১০ ভাগ লোক আছে বাংলাদেশে- তাদের সবার আগে দিতে হবে। তাহলে মৃত্যুহার অনেক কমে যাবে।দেশের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় না আনা পর্যন্ত করোনা থেকে দেশ ঝুঁকিমুক্ত হবে না।
Discussion about this post