হার্টবিট ডেস্ক
সারাদেশে অক্সিজেন সরবরাহের কোনো সংকট নেই বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তারা জানিয়েছে, দেশে প্রতিদিন যে পরিমাণ অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে, তার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়। এমনকি এই মুহূর্তে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
রোববার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা বিষয়ক বুলেটিনে অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশে সামগ্রিকভাবে অক্সিজেন সরবরাহের কোনো সংকট নেই। এমনকি উৎপাদনেরও কোনো সংকট নেই। দেশে যারা অক্সিজেন উৎপাদন করেন, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমরা প্রতিনিয়ত বৈঠক করছি। প্রতিদিনই তাদেরকে আমরা আমাদের চাহিদা জানিয়ে দিচ্ছি। কাজেই এই মুহূর্তে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে সেটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এর আগে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি জেলায়, বিশেষ করে সাতক্ষীরা, খুলনা এবং বগুড়ায় করোনাভাইরাসের রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েও অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়-স্বজন।
অক্সিজেন অভাবে মৃত্যু প্রসঙ্গে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, অক্সিজেনের অভাবে বিভিন্ন জেলায় কিছু রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। এ ঘটনায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নিশ্চয়ই আমরা আপনাদের জানাব। কিন্তু দেশে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। দেশে প্রতিদিন যে পরিমাণ অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে, তার চেয়েও বেশি পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের আরেক মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, দেশে এখন যে পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন করা হচ্ছে সে অনুপাতে চাহিদা এখনো তৈরি হয়নি। সে হিসেবে বলা যাবে না যে দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে প্রতিদিন ১৯০ টন অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু চাহিদা তো ১৯০ টন না। আর সব রোগীর যে অক্সিজেন লাগবে সেটাও না। একটা হাসপাতালে কয়টা সিলিন্ডার এবং কয়টা সেন্ট্রাল লাইন আছে সেটা হিসেব করে যদি একটা স্টেটমেন্ট দিয়ে দেওয়া হয় সেটা ভুল হবে।
অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদনে গরমিল রয়েছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, অক্সিজেনের সিলেন্ডারগুলো যখন যেখানে ব্যবহার হয়, সেটি আবার রিফিল করার জন্য চলে যায়। তার মধ্যে আবার কিছু সংখ্যক রিজার্ভ হিসেবে জমা থাকে এবং যখন যেখানে প্রয়োজন সেটি দ্রুত সরবরাহ করা হয়। কাজেই অক্সিজেন সিলিন্ডারের যে সংখ্যাটি আছে সেটি মাঝে মধ্যে বেড়ে যায় এবং কমে যায়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
Discussion about this post